ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের ব্যাংক হিসাবে আড়াই হাজার রুপিরও কম অর্থ রয়েছে। আর হাতে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ হাজার দেড়েক রুপি। বিধানসভা নির্বাচনে ধনপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে মানিক সরকারের দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর হাতে রয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫২০ রুপি। আর ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁর ব্যাংক হিসাবে অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ৪১০ রুপি।
২০১৩ সালে ব্যাংকে অর্থের পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৭২০ রুপি ৩৮ পয়সা। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রতি মাসে তিনি বেতন পান ২৬ হাজার ৩১৫ রুপি। বেতনের পুরোটাই তিনি তুলে দেন দলের তহবিলে। নিজ দল সিপিএম তাঁকে দেয় প্রতি মাসে ৯ হাজার ৭০০ রুপি। মানিক সরকারের স্ত্রী পঞ্চালী ভট্টাচার্য অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদে আসীন ছিলেন। ২০১১-১২ সালে শেষ দেওয়া আয়কর রিটার্ন অনুসারে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭০ রুপি। এখন তিনি অবসরে আছেন। পঞ্চালী ভট্টাচার্যের হাতে নগদ অর্থ আছে ২০ হাজার ১৪০ রুপি। ব্যাংকে আছে মোট ১২ লাখ ১৫ হাজার ৭১৪ রুপি। নিঃসন্তান এ দম্পতির আগরতলায় পারিবারিক সম্পত্তি রয়েছে শূন্য দশমিক ০১১ একর জমি।
৬৯ বছরের এই মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য আগেই জানিয়েছেন, তিনি সেই সম্পত্তি বোনদের দান করবেন। ভারতের সবচেয়ে সৎ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত মানিক সরকারের কোনো ব্যক্তিগত গাড়িও নেই। মানিক সরকার ১৯৯৮ সালের মার্চে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তিনি ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য। ২০০৮ সালের মার্চে তিনি বামফ্রন্টের নেতা হিসেবে শপথ নেন এবং ত্রিপুরায় কোয়ালিশন সরকার গঠন করেন। ২০১৩ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর তিনি চতুর্থবারের মতো মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।