শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা বই ধরে শুধু মুখস্ত করে ফেলছে, কিন্তু কিছুই আত্মস্থ কিংবা জীবনে কাজে লাগানোর মতো করে শিখতে পারছে না। মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে উদ্ভাবন হয় না। আমাদের শিক্ষাজীবনে পদার্থ বিজ্ঞান শিখি, রসায়ন শিখি, জ্যামিতি শিখি। কিন্তু, বাস্তবে কি আমরা এর কোনো প্রয়োগ করতে পারছি? নিজেদের জীবনে তা প্রয়োগ করতে পারছি না।
রোববার (২৩ জুলাই) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
এই অলিম্পিয়াডে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে। প্রতিযোগিতার বিষয়গুলো হলো—বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, আর্টস অ্যান্ড ক্রাফট, গণিত, রোবোটিকস, আইসিটি অ্যান্ড ডিজিটাল সিকিউরিটি এবং ব্লক চেইন ও ক্লাউড কম্পিউটিং।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চারটি স্তম্ভের কথা বলেছেন—স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে লাগবে স্মার্ট নাগরিক। স্মার্ট নাগরিক তৈরি করতে লাগবে স্মার্ট শিক্ষা।
নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের মতো এই নতুন ধারার শিক্ষা নিয়েও অনেকের কাছে কথা শুনতে হচ্ছে। এখনো ক্লাসে ১-১০ রোল যাদের, তাদের নিয়েই শিক্ষকরা ব্যস্ত থাকছে। ক্লাসরুমে ভালো শিক্ষার্থীরা সামনে বসছে। কিন্তু, পেছনে শিক্ষার্থীরা কী করছে, কী পড়ছে, তা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। সবাই যেন পড়াশোনার মধ্যে ব্যস্ত থাকে, সবাই যেন শেখাটা সক্রিয়ভাবে শেখে, এজন্যই এই নতুন শিক্ষাক্রম।