নাঈমুল ইসলাম খান ॥
[১] সেই প্রণোদনা আসলে কোনো অনুদান বা দান নয়। সেটা হচ্ছে স্বল্প সুদে ঋণ।
[২] কেউ ১ কোটি টাকা প্রণোদনা ঋণ নিলে তাকে বছরে সাড়ে চার লাখ টাকা সুদ দিতে হবে। আরও সাড়ে চার লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে সরকার।
[৩] অর্থাৎ ঋণটা হবে ৯ শতাংশ সুদ হারে, এর মধ্যে অর্ধেক ৪.৫ শতাংশ দেবে সরকার আর বাকি অর্ধেক ৪.৫ শতাংশ দিতে হবে ঋণ গ্রহীতাকে।
[৪] এই ঋণ সুবিধা কেবল এক বছরের জন্য। অর্থাৎ ১২ মাসের মধ্যে সুদ-আসলে ফেরত দিয়ে দিতে হবে।
[৫] দিতে না পারলে তারপর অর্থাৎ ১৩তম মাস থেকে পুরো ৯ শতাংশ সুদই ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে।
[৬] করোনায় কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান চরম বিপর্যস্ত এবং সেই করোনাকাল যখন এক বছর পেড়িয়ে এখনও জন জীবন বিপর্যস্তই করে রেখেছে, সামনে সময়টাও অনিশ্চত, তখন কোন অলৌকিক সুবিধায় এক বছরের মধ্যে সংবাদ প্রতিষ্ঠান সুদে-আসলে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে সক্ষম হবে?
[৭] অনেক শীর্ষ মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব জানেনই না মিডিয়ার জন্য প্রণোদনা ঋণ সুবিধা রয়েছে। তারা যে ব্যাংকের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করেন সেখানে খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন যে তারাও প্রণোদনার ঋণ নিতে পারেন।
[৮] সে ঋণ পাওয়া অত সহজ নয়। সাধারণ যেকোনো ঋণের মতোই এর বিপরীতে পর্যাপ্ত মর্টগেজ রাখতে হয় এবং যেকোনো প্রতিষ্ঠানের মোট চলতি মূলধনের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পরিমাণ টাকা ঋণ হিসেবে পাওয়া যেতে পারে। ঋণের পুরো বিষয়টা শেষ পর্যন্ত নির্ভর করবে ব্যাংক-ক্লায়েন্ট রিলেশনশিপের ওপরে।
[৯] এই ঋণ পাওয়া গড়পরতা মিডিয়ার জন্য যেমন সহজ নয়, এই ঋণের টাকা সুদসহ সময়মতো পরিশোধ করাও প্রায় অসম্ভব।
অনুলেখক : নাজমুল হক মুন্না,(উজিরপুর)বরিশাল