 
                                            
                                                                                            
                                        
মালয়েশিয়ায় পাঁচ মাসে ৩ হাজার ৪০৩ বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। তবে দেশটিতে আটক হওয়া মোট অভিবাসীর সংখ্যা ৭ লাখ ৪৪ হাজার ৯৪২ জন। এদের জামিন নিতে ৮৩ হাজার ৯১৯ জন নিয়োগকর্তা আবেদন করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ৮৬৯ অবৈধ অভিবাসী আটক হয়েছে মালয়েশিয়ায়।
ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক মুসতাফার আলী শুক্রবার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬ হাজার ১৯টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে এই সময়ের মধ্যে।
বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, অভিযানগুলো চলাকালীন মোট ৪৫৫ জন নিয়োগকর্তাকে আটক করা হয়েছে। যারা অবৈধ শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছেন বা আশ্রয় দিয়েছেন।
মুসতাফার জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত আটকদের মধ্যে রয়েছেন- ৬ হাজার ৩১৫ জন ইন্দোনেশিয়ান, ৩ হাজার ৪০৩ জন বাংলাদেশি, ১ হাজার ৯৫৬ জন ফিলিপাইনের নাগরিক, ১ হাজার ৭৪৮ জন মিয়ানমার এবং বাকিরা বিভিন্ন দেশের নাগরিক।
তিনি জানান, পুনরায় নিবন্ধনের জন্য জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে গত বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ৭ লাখ ৪৪ হাজার ৯৪২ জন অবৈধ অভিবাসী এবং ৮৩ হাজার ৯১৯ জন নিয়োগকর্তা আবেদন করেছেন।
পুনরায় নিবন্ধনের এই প্রক্রিয়ায় সবেচেয়ে বেশি আবেদন করেছেন বাংলাদেশিরা। এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৮২ হাজার ৫৩৫ জন বাংলাদেশি পুনরায় নিবন্ধনের আবেদন করেছেন। এরপর ১ লাখ ১৮ হাজার ১১৫ জন, মিয়ানমারের ৪৩ হাজার ৮৬০ জন, ৩২ হাজার ৯৯২ জন ভারতীয় এবং আবেদনকারী বাকিরা বিভিন্ন দেশের।
এছাড়াও এই একই সময়ে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ বা থ্রি প্লাস ওয়ান প্রকল্পের অধীনে ৯২ হাজার ২৮০ জন নিবন্ধন করেছেন এবং গত ৫ মাসে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মোট ৫৩ হাজার ১২৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। মেয়াদ পরবর্তী অবস্থানের জন্য এবং ৩৯ হাজার ১৫১ জন অবৈধ অভিবাসীর কাছে কোনো ধরনের বৈধ পাস বা অনুমতিপত্র পাওয়া যায়নি।
নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তান মুহিউদ্দিন ইয়াসিনও অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন বিভাগকে অভিযান অব্যাহত রাখতে বলেছেন।
অবৈধ অভিবাসী এবং বিদেশি অপরাধীদের ধরতে ইমিগ্রেশন বিভাগ সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।