মার্সেলোর পরিচয় একজন ডিফেন্ডার। রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা ব্রাজিলের হয়ে খেলেন লেফট ব্যাকে। কাজ তার মাঠের বাম পাশ দিয়ে হওয়া আক্রমণ ঠেকানো এবং একই দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা। মার্সেলো তার পাশ দিয়ে আক্রমণ শানেন ঠিক। কিন্তু আক্রমণ কতটা ঠেকান তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
তিনি রিয়ালে যেভাবে খেলেন তাতে অনেকে হয়তো তাকে ডিফেন্ডার মানবে না। আক্রমণের বেশি অবদান রাখেন তিনি। বাম পাশ থেকে ক্রস দেওয়ার মাস্টার বলা যায় তাকে। আর মার্সেলোর এই গুনটাকে কাজে লাগাতে চাই লিভারপুল। রক্ষণে তার অবদান কম থাকায় সালাহকে ওই দিক দিয়ে আক্রমণে পাঠাবেন লিভারপুল কোচ জার্গেন ক্লপ। জার্মান কোচ এমনটাই ইঙ্গিত করেছেন। তবে কাজটা সহজ নয় বলেও জানিয়েছেন।
লস ব্লাঙ্কোসরা চ্যাম্পিয়নস লিগ বিশেষজ্ঞ একথা যে কেউ মানবেন। পরপর তিনটি শিরোপা জেতার লক্ষ্য নিয়ে তারা কিয়েভে যাবে। লিভারপুল কোচ প্রাথমিকভাবে রিয়াল দলে কোন দুর্বলতা দেখেনে না। তবে তাদের ‘ব্যাক’ দিয়ে জায়গা পাওয়া সম্ভব একথা জানেন তিনি। বিশেষ করে ব্রাজিলিয়ান তারকা মার্সেলোর পাশ দিয়ে। রক্ষণের সঙ্গে তার যোগসূত্র কম। তিনি বরং দলের আক্রমণ সাজাতে বেশি অবদান রাখেন।
জার্গেন ক্লপও তা অস্বীকার করেননি। প্রশ্নের জবাবে তিনি মিররকে বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রত্যেকে এটা দেখেছে এবং অবশ্যই জানে। মার্সেলো দারুণ একজন আক্রমণাত্মক ফুটবলার। কিন্তু তিনি ততটা ডিফেন্স করেন না। তার পাশ দিয়ে আক্রমণ করার সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।’ কিন্তু বিষয়টা বলা যত সহজ করাটা তত সহজ না। ক্লপও বলেছেন সেই কথা।
তিনি বলেন, ‘মার্সেলো যখন ফরোয়ার্ড দিয়ে উঠে যাবে তখন মোহাম্মদ সালাহ আক্রমণে উঠবে। ব্যাপারটা এত সহজ না। মার্সেলো উপরে উঠবে আর জায়গা ছেড়ে দেবে এরপর সালাহ তাদের বক্সে ঢুকে পড়বে। সেন্ট্রাল ডিফেন্সে থাকা রামোসকে ফাঁকি দিয়েই গোল দিয়ে দেবে। এটা মুখে যেমন বলা যায় ফুটবল অতোটা সহজ না।’ ক্লপের এও অজানা নয় ডিফেন্ডার মার্সেলো ফরোয়ার্ড দিয়ে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। তার পাশ দিয়ে আক্রমণ শানানোর আগে মার্সেলোকে ঠেকাতেই ত্রস্ত থাকতে হতে পারে লিভারপুল ডিফেন্ডারদের। কিয়েভে ২৬ মে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ক্লপ নাকি জিনাদের কৌশল কাজ করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।