প্রতিবেশীদের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক আর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে টিকে থাকতে দেশেই বিশাল অস্ত্র শিল্প গড়ে তুলেছে ইরান। বিদেশ থেকে আমদানি করতে না পারলেও তারা নিজেরাই এখন তৈরি করছে ভয়ঙ্কর সব সমরাস্ত্র। ওই তালিকায় এবার যোগ হতে চলেছে কামান-২২ ড্রোন।
ইরানি বিমান বাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদে বলেছেন, খুব শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের রিপার ড্রোনের আদলে তৈরি ড্রোনটি তাদের বাহিনীতে যোগ হচ্ছে। এটি বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বহন করতে সক্ষম।
তিনি জানান, কামান-২২ ড্রোনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এটি একটানা প্রায় ২৪ ঘণ্টা উড়তে পারে এবং এই সময় আরও বাড়ানো সম্ভব।
ইরানি কমান্ডার জানান, অত্যাধুনিক এই ড্রোন অনেক দূরে গিয়ে শত্রুর অবস্থান শনাক্ত করা, ছবি তোলা, বোমাবর্ষণসহ নানা তৎপরতা চালাতে পারবে। এর ফলে ড্রোনটি ইরানি বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বহু গুণ বাড়িয়ে দেবে।
এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে কামান-১২ ড্রোন উন্মুক্ত করেছিল ইরান। সেটিও ভারী সরঞ্জামসহ উড়তে সক্ষম।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিরজাদে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের গণমাধ্যমগুলো বলছে, এ ধরনের ড্রোন তৈরির সামর্থ্য ইরানের নেই। কিন্তু এর আগেও প্রমাণিত হয়েছে, আমরা যা বলি তা-ই করি। আগে যখন আমরা কামান-১২ ড্রোনের কথা ঘোষণা করি, তখনও অনেকেই বিশ্বাস করেনি। কিন্তু মহড়ায় ড্রোনটির কার্যকারিতা সবাই দেখেছে। নতুন ড্রোন কামান-২২’র ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে।
প্রায় এক বছর আগে ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের অন্যতম শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। তিনি ছিলেন দেশটির ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান। সোলেইমানি হত্যাকাণ্ডের পরপরই এর কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল ইরান।
সূত্র: পার্স টুডে, উইঅন