অভিযোগটা বেশ গুরুতর ছিল। এক মহিলা ম্যাসাজ থেরাপিস্টকে নাকি পরনের তোয়ালে খুলে নিজের গোপনাঙ্গ দেখিয়েছিলেন ক্রিস গেইল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন, মানহানি মামলাও করেন। এবার সেই মামলায় রায় এসেছে তার পক্ষে।
গেইলের এমন অসভ্যতার ঘটনাটি প্রকাশ করেছিল অস্ট্রেলিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়া গ্রুপের কয়েকটি পত্রিকা। তবে জুরি বোর্ড ক্যারিবীয় ওপেনারের বিরুদ্ধে অভিযোগের শক্তিশালী প্রমাণ খুঁজে পাননি। প্রায় দুই ঘন্টা আলোচনার পর তারা গেইলকে ‘নির্দোষ’ হিসেবে রায় দেন।
মামলার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার গেইলের ঘনিষ্ট বন্ধু এবং পেশাদার ক্রিকেট কোচ ডোনোভান মিলার নিউ সাউথ ওয়েলসের উচ্চ আদালতে জানিয়েছিলেন, ক্যারিবীয় ওপেনার নাকি এই ঘটনার পর থেকে নারী দেখলেই ভয় পান।
রায়ের পর অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন গেইল। আদালতের বাইরে এসে ক্যারিবীয় এই ব্যাটিং দানব বলেন, ‘আমি একজন ভালো মানুষ। আমি দোষী নই।’
প্রসঙ্গত, ২০১৫ বিশ্বকাপে সিডনিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ শেষে নাকি ম্যাসেজ থেরাপিস্ট লিনে রাসেলের সামনে পরনের তোয়ালে খুলে ফেলেছিলেন গেইল। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে রীতিমত কেঁদে ফেলেছিলেন ওই নারী।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এসব আচরণে সত্যিই ক্লান্ত। এখন এসব দেখলে অসুস্থ বোধ করি। প্রতিটি নারীই এ অবস্থার মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত যাচ্ছে, কিন্তু কেউ এসব নিয়ে উচ্চকণ্ঠ হওয়ার সাহস দেখায় না। কিন্তু এটা ঠিক না। নারীদের উচিত এমন কিছু ঘটলেই সেগুলো সামনে নিয়ে আসা।’
এই প্রতিবেদন প্রকাশ হবার পর অস্ট্রেলিয়ার ফায়ারফক্স মিডিয়ার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা ঠুকে দেন ক্রিস গেইল।