বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে অনুসরণীয় একটি উন্নত ও মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে অভিনয় শিল্পীরা সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অভিনয় শিল্পী সংঘের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আশা ব্যক্ত করেন।
এ সময় সংঘের ওয়েবসাইট একটরসইকুইটিবিডিডটকম উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিমের পরিচালনায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, চিত্রনায়ক আলমগীর, প্রথিতযশা অভিনয়শিল্পী মামুনুর রশীদ, তারিক আনাম খান, সালাহউদ্দীন লাভলু বক্তব্য দেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে সম্মিলিতভাবে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া। ভৌত অবকাঠামোগতভাবে উন্নত এবং মানবিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে মানুষের মনন তৈরিতে অভিনয়শিল্পীদের ভূমিকা অপরিহার্য।
মন্ত্রী অভিনয় শিল্পীদের তাদের পেশার প্রতি মমতার জন্য অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, শিল্পীরা শিল্পকে ভালোবেসেই অন্য পেশায় যাননি। অনেকে বহু সংগ্রাম ও ত্যাগ করেও অভিনয় জগতে রয়ে গেছেন, যারা চাইলেই অন্য পেশায় যেতে পারতেন। তারা আছেন বলেই আমাদের অভিনয়শিল্প সমৃদ্ধ হয়েছে।
দেশের টেলিভিশন খাতের সুরক্ষা ও উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপগুলোর সঙ্গে একাত্মতার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ মনে করেছিলেন আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার সম্ভব হবে না। তারা এ নিয়ে শোরগোল করারও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সবার সহযোগিতায়, দেশের স্বার্থে আমরা সেটি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ক্যাবল নেটওয়ার্কে দেশি টিভিগুলোর কোনো ক্রম ছিল না, এখন হয়েছে। দেশি শিল্পী ও বিজ্ঞাপন শিল্পের সুরক্ষায় আমরা বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণে শিল্পীপ্রতি ২ লাখ টাকা ও যে টিভিতে প্রচার হবে, তাকে বিজ্ঞাপনপ্রতি ২০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে দেওয়ার নিয়ম করেছি।
প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান সবাইকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অভিনয় শিল্পকে এগিয়ে নিতে আহ্বান জানান।