মাদক ও তার ভয়াবহতা সেই বুঝে যার ঘড়ে একটা মাদকাশক্ত সন্তান আছে,একটা পরিবারে ধ্বংসের জন্য একটা নেশাগ্রস্থ সন্তানই যথেস্ট,একটা একটা সমাজ ধ্বংসের জন্য গুটি কয়েক মাদক ব্যবসায়ী যথেস্ট।সমাজ,দেশ, পরিবার আজ মাদকের হানায় এক ক্রান্তি লগ্ন পাড় করছে, মা বাবা’রা আজ তার বুকের মানিক কে নিয়ে কাটাচ্ছে সন্ধিহান দিন,ছেলে মেয়েরা আজ নিয়ন্ত্রিন হিন হয়ে পড়ছে, কিন্তু কেন?
তার উত্তর মাদক, আপনার আমার সন্তানরা যখন পড়ার সময় যখন খেলার সময় ঠিক তখনি কেন নেশার জগতে তাদের বিচরণ? কোথায় পাচ্ছে এই নেশা জাতিয় বস্তু?তাই আপনার সন্তানের দিকে কিন্তু আপনাকেই খেয়াল রাখতে হবে।তার প্রতি নিয়ত কর্মকান্ড আপনাকে অনুধাবন করতে হবে,তার চলাফেরা,কথাবার্তা সকল কিছু।
মাদকাসক্তি নিমূলের আগে জানতে হবে, মাদকাসক্তির লক্ষণ গুলি কি কি? কেউ মাদক গ্রহন করলে তার লক্ষণ কিভাবে অনুধাবন করা যায়, তা জানা একান্ত দরকার।
১. হঠাৎ করেই স্বাভাবিক আচরণে পরিবর্তন আসতে পারে। অন্যমনস্ক থাকা, একা থাকতে পছন্দ করা।
২. অস্থিরতা প্রকাশ, চিৎকার, বেঁচামেচি করা।
৩. অসময়ে ঘুমানো, ঝিমানো কিংবা হঠাৎ চুপ হয়ে যাওয়া।
৪. কারণে-অকারণে খারাপ ব্যবহার করা। অসংলগ্ন ও অস্পষ্ট কথাবার্তা বলা।
৫. কোথায় যায়, কার সঙ্গে থাকে=এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিরক্ত হওয়া, গোপন করা তিংবা মিথ্যা বলা।
৬. ঘর অন্ধকার করে জোরে মিউজিক শোনা।
৭. রাত করে বাড়ি ফেরা, রাত জাগা, দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা।
৮. হঠাৎ নতুন অপরিচিত বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করা।
৯. বিভিন্ন অজুহাতে ঘন ঘন টাকা পয়সা চাওয়া।
১০. স্বাভাবিক খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দেওয়া।
১১. অভিভাবক এবং পরিচিত জনদের এড়িয়ে চলা।
১২. স্বাভাবিক বিনোদন মাধ্যমে ক্রমশ আগ্রহ হারিয়ে ফেলা।
১৩. বাড়ির বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রমাগত টাকা পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়া।
১৪. ঋন করার প্রবনতা বেড়ে যাওয়া।
১৫. নির্জন স্থানে, বিশেষত বাথরুপে বা টয়লেটে আগের চেয়ে বেশি সময় কাটানো।
এ সমস্ত লক্ষণ প্রকাশ পেলে বুঝবেন আপনার সন্তানকে ভয়ংকর ব্যাধি মাদকাসক্তিতে আক্রান্ত করেছে। নিরাময়ের জন্য জরুরী ব্যবস্থা নিতে হবে। তাই অভিভাবক বা পিতা মাতার উচিত সন্তানদের প্রতি নিবিড় পর্যবেক্ষন বজায় রাখা। ¯স্নেহের পরশ দিয়ে তাদের আগঁলে রাখতে হবে। তা না হলে তারা জীবন যুদ্ধের নষ্ট কীটে পরিণত হবে।