মাদক ব্যবসায় জড়িত থেকে সুস্থ জীবন পাওয়া যায় না : ডিআইজি শফিকুল ইসলাম

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম-বিপিএম(বার), পিপিএম বলেছেন, মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থেকে সুস্থ একটা জীবন পাওয়া যায় না, ভয় থাকে-সন্মান থাকে না।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা মাদক ব্যবসায়ী/সেবীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

এসময় ডিআইজি আরো বলেন, যারা অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরে এসেছেন, তাদের সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি তাদের প্রতি আহবান থাকবে যতো কষ্টই হোক না কেন আর বিপথে ফিরে যাবে না। আমরা চেষ্টা করছি যোগ্যতা অনুযায়ী আপনাদের প্রশিক্ষন দিয়ে দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এবং কর্মসংস্থানের জন্য।

ডিআইজি বলেন, আজকের ৮ জন সহ বরিশাল জেলায় মোট ২৪১ জন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী আত্মসমর্পন করেছে। যার সংখ্যাটা হিসেব করলে অনেক বড়। এজন্য পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন।  আমরাই চাই মাদক নির্মুল করে বরিশাল জেলা দেশের একটি মডেল জেলা হিসেবে গড়ে উঠুক।

সভাপতির বক্তব্যে বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম-বিপিএম(বার) বলেন, এখন পর্যন্ত যারা আত্মসমর্পন করেছে বা ভবিষ্যতে করবে, আমরা চাই তারা যেন সমাজের মুল ধারায় ফিরে আসুক। এজন্য আমরা তাদের সার্বিক সহযোগীতা করার কাজ করে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন মানিক বীরপ্রতিক, বরিশালের সিনিয়র সাংবাদিক অ্যাডভোকেট এস এম ইকবালসহ সমাজকল্যানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

জাতীয়প্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago