শায়খ মহিউদ্দিন। ১০৭ বছরে এ প্রবীণ শায়খকে আর মসজিদে নববিতে নামাজ পড়তে দেখা দেখা যাবে না। মসজিদে নববি থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে ‘কারবান ও তাজুরি’ এলাকা তার বাড়ি হলেও তিনি নিয়মিত মসজিদে নববিতেই পড়তেন ৫ ওয়াক্ত নামাজ। প্রতিদিন তিনি নিজ বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে মসজিদে নববিতে এসে নামাজ পড়তেন এবং দীর্ঘ সময় মসজিদে নববিতে অবস্থান করতেন। কুরআন তেলাওয়াত করতেন।
আরবি গণমাধ্যম আল-খালিজ ডটএই’র তথ্য মতে জানা যায়, শায়খ মহিউদ্দিন ছিলেন মদিনা নগরীর প্রবীণদের অন্যতম। ইসলামে দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বংশধর। ইসলামের বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ও আলেম মহিউদ্দিন ইবনে আরাবি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন তাঁর পূর্বপুরুষ।
শায়খ মহিউদ্দিন সম্পর্কে একট টুইট বার্তায় কিছু তথ্য তুলে ধরেন মক্কা-মদিনার ইসলামি স্থাপনার ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ আবু মালিক। তিনি জানান, ‘প্রয়াত শায়খ মহিউদ্দিন ছিলেন অত্যন্ত হাস্যোজ্জ্বোল ও কোমল মনের অধিকারী। তিনি সব সময় আল্লাহর জিকির করতেন। কুরআন তেলাওয়াতের সঙ্গে তার ছিল গভীর সম্পর্ক।
টুইটে আরও জানান, ‘কোনো স্ত্রী ও পুত্র ছিল না তার। কোনো একজন দানশীল ব্যক্তির সহায়তায় তিনি জীবন পরিচালনা করতেন এবং মসজিদে নববির পাশে অবস্থান করতেন।
আবু মালিক বলেন, ‘আমি গত ৩০ বছর ধরে তাঁকে পিঠ বাঁকা করে মসজিদে নববিতে যাতায়াত করতে দেখেছি। মসজিদে নববিতে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আদায় করতেন তিনি। মদিনার পবিত্র হারাম শরিফ থেকে তাঁর বাসার দূরত্ব ছিল প্রায় তিন কিলোমিটার। মসজিদে নববিতে আসা-যাওয়ায় তার নিয়মিত রুটিন ছিল এমন-
‘তিনি প্রতিদিন ফজরের দুই ঘণ্টা আগে ঘর থেকে মসজিদে নববির উদ্দেশ্যে বের হতেন। জিকির করতে করতে তিনি মসজিদে নববিতে এসে ফরজ আদায় করতেন। মসজিদে নববির বাবুস সালাম গেট দিয়ে তিনি প্রবেশ করতেন। ফজরের নামাজ পড়ে ইশরাক পর্যন্ত মসজিদে নববিতে অপেক্ষা করতেন।