মই মার্কায় ভোট দিয়েই বরিশালের বাস্তব উন্নয়ন এবং পরিবর্তন সম্ভব

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

আসাদুজ্জামানঃ ভালো কিছু করার জন্য দরকার একটু ব্যতিক্রম হওয়া। ভিন্ন কিছু চিন্তার মাধ্যমেই পরিবর্তন হতে পারে বরিশাল। অধিকারহীন একটি নগরীর জনগন ফিরে পেতে পারে অধিকার।

ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী ৩৪ তম বিসিএস এর স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারি সার্জন পদে নিয়োগ পাবার পরেও সেটা ত্যাগ করে, নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য নিরাপত্তা তুচ্ছজ্ঞান করে, শ্রমজীবী-সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে, মুক্তির লক্ষ্যে নিজেকে সপে দিয়েছেন সাধারণ মানুষের কাতারে। মেডিকেল কলেজে পড়ার সময়ই শিক্ষা-স্বাস্থ্যের অধিকার রক্ষা, শোষণ-লুটপাট থেকে দেশ এবং মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে যুক্ত হন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের রাজনীতির সাথে।

এরপর মেডিকেল ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী নিপীড়নের ঘটনা, গভীর রাতে ছাত্রী হলে সন্ত্রাসীদের প্রতিবাদে দূর্বার আন্দোলন, মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে আন্দোলন, জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে অনিয়ম বন্ধ করে মেডিকেলে সর্বসাধারণের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ তেল-গ্যাস বিদেশীদের হাতে তুলে না দিয়ে দেশের প্রয়োজনে উত্তোলন ও ব্যবহারের জাতীয় কমিটির আন্দোলন, গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি, সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন, তনু হত্যার প্রতিবাদে বরিশালে ছাত্র ধর্মঘটসহ ধারাবাহিক আন্দোলন, সারাদেশে সন্ত্রাস-দফলদারিত্বনারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন, পুকুর-খাল-নদী রক্ষার আন্দোলন, মাদক-জুয়া-অশ্লিলতা-অপসংস্কৃতি বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বকারী ভ’মিকা পালন করেন তিনি।

বরিশালে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন, ভোলার গ্যাস বরিশালে এনে গ্যাসভিত্তিক শিল্প কারখানা নির্মাণ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির আন্দোলন, দোকান কর্মচারী-হোটেল শ্রমিক-নির্মাণ শ্রমিক-নৌযান শ্রমিক-রিক্সা শ্রমিকদের ধারাবাহিক আন্দোলন, খাসজমি ভ’মিহীনদের মধ্যে বিতরনের আন্দোলন, রসুলপর চরে বস্তিু উচ্ছেদের বিরুদ্ধে সফল আন্দোলন, রসুলপুরে সুলভে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের আন্দোলন, পলাশপুর-স্টেডিয়াম-রসুলপুর বস্তিতে নাগরিক সুবিধার আন্দোলন, বস্তিবাসী সন্তানদের বিনা বেতনে পড়াশুনার সুযোগ প্রদানের দাবিতে আন্দোলন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি জোরপূর্বক দখলের বিরুদ্ধে আন্দোলন ইত্যাদি। অধিকারহীন মানুষের জন্য ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী’র এই আন্দোলন সত্যিই ব্যতিক্রম কিছু চিত্র প্রকাশ করে। যা বরিশালের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের জন্য দরকার।

মেডিকেল থেকে পাশ করে ৩৪তম বিসিএসের সরকারি চাকুরী ছাড়লেও ডা. মনীষা ছাড়েননি চিকিৎসা পেশা। তাই প্রখর রোদে শ্রমজীবী বা নগরবাসীর অধিকার আদায়ের মিছিলের পর বিশ্রামের পরিবর্তে তাকে দেখা যায় হাসিমুখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিনামূল্যে মানুষের চিকিৎসা করতে। কখনও রসুলপুর বস্তিতে, কখনও পলাশপুরে, কখনও স্টেডিয়াম কলোনী বস্তিতে, কখনওবা বিসিক বা কাশীপুরে শ্রমিক এলাকায়। পার্টি অফিসে গুরুত্বপূর্ণ কোন মিটিং শেষেও কিছু রোগী দেখার পরই উঠতে হয় তাকে। কখনও কাজের ফাকে কোন অসহায় মানুষের চিকিৎসার খোজ নিতে রাত-বিরাতে ছুটে যেতে হয় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে। মাত্র ২৮ বছর বয়সী ডাঃ মনীষা’র বরিশালের মানুষের জন্য বিনামুল্যে সেবা প্রদানের এই মনোভাব ব্যতিক্রম একটি দিক যা খুব কম রাজনৈতিক নেতাদেম মাঝে লক্ষ্য করা যায়। এরকম একজন চিকিৎসক বরিশালের মানুষের জন্য দরকার। দরিদ্র, চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষের জন্য ডাঃ মনীষাকেই দরকার।

ডাঃ মনীষা দিদি বরিশালের মেয়র হিসেবে জয়ী হলে বরিশালে সভ্য, শিক্ষিত, মুক্তচিন্তার মানুষেরা নিমিষেই রাজনীতিতে প্রবেশ করবে। তরুনরাই এগিয়ে এসেছে ডাঃ মনীষার জন্য। আরজ আলী মাতুব্বর, শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক, কামিনী রায়, সুফিয়া কামাল, আলতাফ মাহমুদ, আব্দুল লতিফ এর মতো আলোকিত মানুষে ভরে উঠবে বরিশাল। ঘুমন্ত বরিশাল আরএকবার জেগে উঠবে এটা বাস্তব।

ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী’র নির্বাচন করছেন মূলত বরিশালের শ্রমিক ভাইয়েরা। উনারা বেশিরভাগই শিক্ষা, চিকিৎসা, অধিকার থেকে বঞ্চিত। উনাদের একটাই আশা বরিশালের খেটে খাওয়া মানুষের উন্নয়ন হোক। উনারা চান শিক্ষা, চিকিৎসা, সংস্কৃতি, মুক্তচিন্তার দিক থেকে একটি আলোকিত বরিশাল নগরী। ডাঃ মনীষ‘র হাত ধরে সাধারন মানুষের এই এগিয়ে আসা খুবই আশ্চর্যের এবং ব্যতিক্রম বিষয় যা বরিশালের উন্নয়নে আবশ্যক।

বরিশালের জনসাধারন চাচ্ছেন পরিবর্তন হোক বরিশালবাসীর। অধিকারহীন মানুষ ফিরে পাক অধিকার। তাই এখন দরকার একটু ব্যতিক্রম হওয়া। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে, বাসদ এর মেয়র প্রার্থী ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী কে মই মার্কায় ভোট দিয়েই বরিশালের বাস্তব উন্নয়ন এবং পরিবর্তন সম্ভব, এমনটাই ভাবছেন বরিশালের জনগন।