 
                                            
                                                                                            
                                        
অনলাইন ডেস্ক// ভোলার তজুমদ্দিনে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে মারপিট করে শরীরে গরম পানি ঢেলে নির্যাতন করেছে পাষণ্ড স্বামী। নির্যাতন করে স্বামীর বাড়িতে আটকে রাখলে স্ত্রীর স্বজনরা তিনদিন পর সংবাদ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতাল ও নির্যাতিতার পরিবার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের গোলকপুর গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের মাইনুদ্দিনের মেয়ে কমলা বেগমের (৩১) সঙ্গে লামচি শম্ভুপুর গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে মৃত সৈয়দ আহাম্মদের ছেলে আঃ কাদিরের (৫০) ১৩ বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। আব্দুল কাদিরের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ায় এটি তার দ্বিতীয় বিবাহ। পূর্বের এবং বর্তমানে আব্দুল কাদিরের মোট ৬ সন্তান রয়েছে।
গত মঙ্গলবার সকালে পারিবারিক কলহের জের ধরে আব্দুল কাদির তার স্ত্রী কমলা বেগমকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এক পর্যায়ে চুলার ওপর ভাতসহ রান্না করা গরম পানি স্ত্রীর গায়ে ঢেলে দেয়। এরপর স্ত্রীকে কোথাও চিকিৎসা না করিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে।
কমলার সন্তান রাফসান (১৩) গোপনে তার মামা আফসার উদ্দিনকে ঘটনা জানালে তিনি বোনের বাড়িতে যান। এ সময় কথা কাটাটির এক পর্যায়ে আফসার উদ্দিনকেও বাড়ির লোকজনসহ মারপিট করে আঃ কাদির। পরে বৃহস্পতিবার স্থানীয়দের সহায়তায় কমলা বেগমকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে আব্দুল কাদিরও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘এর আগেও তাদের পারিবারিক সমস্যা নিয়ে আমরা কয়েকবার শালিশ বিচার করেছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং ক্ষত দেখে মনে হয় গরম পানি দিয়ে শরীর ঝলসে দেওয়া হয়েছে।’