ভোলা সদর উপজেলা ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে দুই শতাংশ জমির দ্বন্দ্বের জের ধরে মা মেয়েকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১লা মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে ওই ওয়ার্ডের মহিজল খন্দকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ওই মা মেয়েকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা।
ঘটনার পর ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মাঈনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আহত হালিমা বেগম ওই বাড়ির আব্দুল রশীদের স্ত্রী এবং মেয়ে তানিয়া বেগম ওই এলাকার নিজাম উদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত প্রতিপক্ষরা হলেন, ওই বাড়ির মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম, তাঁর ভাই মো. ইব্রাহিম বোন জোছনা বেগম ও রুপজান বেগম।
আহতের পরিবার জানান, প্রতিপক্ষদের সাথে পূর্ব থেকে এ জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাওয়ার্দী মাষ্টারসহ গণ্যমান্য আরও কয়েকজন ব্যক্তি নিয়ে ঘটনার কয়েক মিনিট আগে ওই বাড়িতে একটি সালিসি বৈঠক বসেছিল।
বৈঠকের একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর মাষ্টার নামে এক বিচারকের সাথে বৈঠকে বসা অন্যান্যদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। যাঁর ফলে বিচারকরা তাদের সালিশি বৈঠক অসম্পূর্ণ রেখে চলে যায়।
বিচারকরা চলে যাওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম দা নিয়ে জোরপূর্বক আহতদের জমি থেকে একটি সুপারি গাছ কর্তন করেন। এতে আহত হালিমা বেগম ও তাঁর মেয়ে তানিয়া বেগম তাকে বাঁধা দিলে অভিযুক্তরা হালিমা বেগম ও তানিয়াকে পিটিয়ে জখম করে মাটিতে ফেলে রাখে।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইলিশা বাজার থেকে হালিমার ছেলে সবুজ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর মা ও বোনকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এবিষয়ে অভিযুক্তরা জানান, গাছ কর্তন করা তাদের অন্যায় হয়েছে। তবুও রাগ ও ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তাঁরা গাছটি কর্তন করেছেন। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত জহিরুল ইসলামের দুই বোনও আহত হয়েছে বলে দাবি করছেন তাঁরা।
স্থানীয় বিচারক ও ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সোহরাওয়ার্দী মাষ্টার জানান, ঘটনার আগে সালিসি বৈঠকে তর্ক বির্তক হওয়াতে সালিসি বৈঠক অসম্পূর্ণ রেখে তাঁরা চলে যান। পরে জহিরুল ইসলাম জোরপূর্বক গাছ কর্তন করেছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, জহিরুল ইসলাম সুষ্ঠু সমাধান মানতে নারাজ। বিচারিক কার্যক্রমে উত্তেজনামূলক কথাবার্তা বলে সালিসি বৈঠকে জহিরুল ইসলাম ব্যাঘাত ঘটায় বলেও জানান তিনি।
ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মাঈনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে অভিযুক্ত কাউকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পাননি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এ ঘটনায় এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।