 
                                            
                                                                                            
                                        
ভোলায় জমি বিক্রি করার অপরাধে মো. আশ্রাফ আলী (৭৫) নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে আহত করেছে তার ছেলে ও নাতিরা। খবর পেয়ে পুলিশ ওই বৃদ্ধকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
শুক্রবার বিকেলে ভোলার লালমোহন উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের মুন্সি হাওলা গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মো. আশ্রাফ আলী বলেন, সন্তানদের পড়াশোনা, সংসার পরিচালনা ও নিজের চিকিৎসা করতে গিয়ে ব্যাংক ও বিভিন্ন মানুষের কাছে প্রায় ৬ লাখ টাকা ধার-দেনা করেছি। অনেকদিন সেই টাকা না দেয়ায় সুদে আসলে বেশি হয়ে গেছে। গত কয়েক মাস ধরে পাওনাদার টাকার জন্য তাগাদা দিয়ে আসছিল। ছেলেদের কাছে জানালে তারা দেনা পরিশোধ করেনি। পরে নিরুপায় হয়ে কিছু জমি বিক্রি করে দেনা পরিশোধ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলে শাহে আলম ও সৈয়দ আহমদ আমাকে বিভিন্ন সময় মারধর করতো। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে শুক্রবার আমার ছেলে শাহে আলম ও সৈয়দ আহমদ তাদের সন্তান অর্থাৎ আমার নাতি হেলাল, লিটন, রিপন, খোকন, বাবুল, রায়হানকে নিয়ে আমাকে চারদিক থেকে মারধর শুরু করে। এতে আমি গুরুতর আহত হই।
স্থানীয়রা জানান, শাহে আলম ও সৈয়দ আহমদের বাবা আশ্রাফ আলী তার সন্তানদের পড়াশোনা, সংসার পরিচালনা ও নিজের চিকিৎসার করতে গিয়ে ব্যাংক ও গ্রামের মানুষের কাছে সুদে ৬ লাখ টাকা নেয়। তার সন্তানরা অনেক আগে থেকে জানলেও কেউ বাবার দেনা দিতে রাজি নয়। আশ্রাফ আলী অনেক জমি থাকায় অংল্প কিছু জমি বিক্রি করে দেনা পরিশোধ করেন। এ ঘটনা শুনে তার ছেলে শাহে আলম ও সৈয়দ আহমদ ক্ষিপ্ত হয়। বিভিন্ন সময় তারা বাবাকে মারধর করতো। শুক্রবার আশ্রাফ আলীর ছেলে শাহে আলম ও সৈয়দ আহমদ ও তাদের সন্তানরা মিলে তাকে বেধরক মারধর করলে আশ্রাফ আলী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় স্থানীরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
লালমোহন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ বৃদ্ধ বাবাকে উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তিনি এখন মোটামুটি সুস্থ রয়েছেন। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার ছেলে ও নাতিরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।