ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতো ভুয়া সাংবাদিক চক্র। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
তারা হলেন- ভুয়া সাংবাদিক রাসেল হাওলাদার ওরফে রাসেল হাসান, তার স্ত্রী সালমা আক্তার, শ্যালিকা আছমা আক্তার, মানিক হোসেন, মোখলেছার রহমান জনি। তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন, নগদ ছয় হাজার টাকা,একটি মোটরসাইকেল, দুটি দাওয়াত কার্ড ও বিভিন্ন পত্রিকার অসংখ্য পেপার ক্লিপিং উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানান র্যাব-১ এর এএসপি মো. কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘ভুয়া সাংবাদিক চক্রে বেশ কয়েকজন নারী সদস্য রয়েছে। তাদের প্রধান টার্গেট ব্যবসায়ী, অধ্যক্ষ ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। নারী সদস্যরা কৌশলে টার্গেটের কাছে যায় এবং বিভিন্ন অযুহাতে ছবি তুলে। বিভিন্ন সময় ভুয়া দাওয়াত কার্ড তৈরি করে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে কেউ অস্বীকৃতি জানালে ইভটিজিং ও নারী নির্যাতন মামলার ভয় দেখানো হতো। চক্রটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাপাতো। কেউ টাকা দিতে রাজি না হলে আইনের আশ্রয় নেওয়া ভয় দেখানো হতো। তারা নিজেদের উত্তরা বাণী, স্বাধীন সংবাদ, নতুন দিক, উত্তরা টাইমস, শ্যামল বাংলাসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রের ‘সংবাদকর্মী’ পরিচয় দিতো।’
গ্রেপ্তার রাসেল হাসান জানিয়েছেন, তিনি এই চক্রের মূল হোতা। তার নির্দেশে চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্বনামধন্য ব্যক্তিদের নিকট চাঁদাবাজি করতেন। উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে না পারলেও নিজেকে গ্রাজুয়েট পরিচয় দেন। বরিশাল ও ঢাকাতে তার একাধিক স্ত্রী রয়েছে। বর্তমান স্ত্রী সালমা আক্তার ও শ্যালিকা আছমা আক্তার তার বিভিন্ন অপারাধে সহযোগিতা করে থাকেন। বর্তমানে তিনি সরেজমিন নামক একটি স্থানীয় পত্রিকায় কর্মরত। তার বিরুদ্ধে বরিশালের মুলাদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং মিরপুর থানায় জাল নোট পাচারের জন্য মামলা রয়েছে।