ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘ভাস্কর্য নিয়ে ইসলামের দৃষ্টিতে মতামত দেয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করা হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড ইসলাম, দেশ, স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ববিরোধী বহুমুখী চক্রান্তের অংশ।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর পুরানাপল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবিরের নেতৃত্বে আসা একদল প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘এসব চক্রান্তের পেছনে ভিনদেশি দালাল রয়েছে। তারা অনৈক্য সৃষ্টি করতে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে মেতেছেন। ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ দেশপ্রেমিক ঈমানদারদের সজাগ থেকে সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমার বাবা ও দাদা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অপরাধমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দেশব্যাপী মাহফিলের মাধ্যমে লাখো অপরাধীকে সোনার মানুষে পরিণত করেছেন। এজন্য চরমোনাই পীর সাহেবের (রহ.) মতো মনীষীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী আখ্যা দেয়া দুঃখজনক।
মতবিনিময়কালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ নূরুজ্জামান সরকার, মো. আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্যে সহযোগিতা করার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে (মানহানির মামলা) করা হয়েছে। এছাড়া হেফাজতে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত আমির জুনায়েদ আহমেদ বাবুনগরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মুহাম্মদ মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমকেও আসামি করা হয়েছে।