দলে প্রাণভোমরা নেইমার না থাকলেও ব্রাজিলের সাম্প্রতিক ফর্ম ম্যাচে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিল। সর্বশেষ ৭ ম্যাচের একটিতেও হারের মুখ দেখেনি তিতেবাহিনী। অন্যদিকে সর্বশেষ ৭ ম্যাচে একটিও জিততে পারেনি রাশিয়া। এ থেকেই অনুমেয় ম্যাচের ফল কী ঘটতে যাচ্ছে।
২০১৮ বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ রাশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে ব্রাজিল। ম্যাচের তিনটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। ব্রাজিলের হয়ে একটি করে গোল করেন মিরান্ডা, কৌতিনহো এবং পাউলিনহো।
ম্যাচে শুরু থেকেই ফেবারিটের মত খেলছে কৌতিনহো-উলিয়ানরা। ৫ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল হেসুস প্রতিপক্ষ অফসাইড ফাঁদকে ফাঁকি দিতে পারলেও রুশ গোলকিপারকে পরাস্ত করতে পারেননি। তার শট রুখে দেন আকিনফেভ। সর্বশেষ অক্টোবরে ঘরের মাঠে জয়ের মুখ দেখার পর সাতটি ম্যাচ খেললেও কোন জয়ের দেখা পায়নি পুতিনের দেশ।
২৭ মিনিটে আবারও ব্রাজিলের বাধা হয়ে দাঁড়ান আকিনফেভ। উইলিয়ানের দূরপাল্লার শট কোন রকম কষ্ট ছাড়াই হাতের তালু বন্দি করেন তিনি। গোলের সুযোগ পেয়েছিল রাশিয়াও। ৩৭ মিনিটে রাশিয়ার সমোলভ গোলবারের দশ গজ দূর থেকেও গোলের নিশানা খুঁজে পাননি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোলের জন্য মরিয়া খেলতে থাকে ব্রাজিল। এর ফলও পেয়ে যায় দ্রুত। ৫৩ মিনিটে আলভেসের কর্নার গোল লাইন থেকে রুশ ডিফেন্ডাররা বিপদমুক্ত করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। মিরান্ডা ফিরতি বলে গোল করে দলকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন। এর কিছুক্ষণ আবারও রুশ দুর্গে আঘাত হানেন বার্সেলোনার ফুটবলার কৌতিনহো। ৬১ মিনিটে পাউলিনহোকে ডিবক্সের ভেতর ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। স্পট কিক থেকে গোল করে ২-০ গোলের স্বস্তির লিড এনে দেন সাবেক এই লিভারপুল ফুটবলার।
দুই গোলের লিড নিয়েও যেন তিতেবাহিনীর গোলক্ষুধা মিটেনি। ৬৬ মিনিটে আবারও ব্রাজিলের গোল। এবার উইলিয়ানের ক্রসে হেড থেকে গোল করে দলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দেন পাউলিনহো। ১৯৯৩ সালের পর এই নিয়ে টানা দুই ম্যাচে ৩ বা এর বেশি গোল হজম করলো রাশিয়া। ম্যাচের পরবর্তী সময়টায় দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের ঝালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিতে। তাই ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাজিলকে। ২৮ মার্চ ব্রাজিলের পরবর্তী ম্যাচটি জার্মানির বিপক্ষে।