অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় বেসিক ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ফখরুল ইসলাম ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ফজলুস সোবহানের সম্পদের তথ্য অনুসন্ধান করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার এক মামলায় ফজলুস সোবহানকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও সৈয়দ মামুন মাহবুব। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ।
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ২০১৫ সালে মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় ১৫৬ জনকে আসামি করে ৫৬টি মামলা করে দুদক। ১৫৬ জন আসামির মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা ২৬ জন। বাকি ১৩০ জন আসামি ঋণগ্রহীতা ৫৪ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ও সার্ভে প্রতিষ্ঠানের।
এর মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪৮টি, ডিএমডি ফজলুস সোবহানকে ৪৭টি, কনক কুমার পুরকায়স্থকে ২৩টি এবং ডিএমডি এ মোনায়েম খানকে ৩৫টি মামলায় আসামি করে দুদক। পরবর্তীতে আরও মামলা হয়।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, আদালত আজ ফজলুস সোবহানকে এক মামলায় জামিন দিয়েছেন। যে মামলায় কম অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। একইসঙ্গে ফখরুল ইসলাম এবং ফজলুস সোবহানের সম্পদের অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এখন দুদক আইন অনুসরণ করে তাদের সম্পদের তথ্য অনুসন্ধান করবে। তবে ফজলুস সোবহানের বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি।