বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সুখবর আসছে। পাঠদানের অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আবেদন করা যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে দীর্ঘদিন ধরে পাঠদানের অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠদানের স্বীকৃতি কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে এটি বন্ধ থাকার পর নতুন করে যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দেয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছর থেকে স্বীকৃতি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সারাদেশের দেড় হাজারের বেশি আবেদন জমা হয়েছে। সম্প্রতি এসব আবেদন যাচাই-বাছাই কাজ শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে বরিশাল, চট্টগ্রাম, যশোর ও কুমিল্লা বিভাগের আবেদন যাচাই-বাছাই কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে দেশের ৯টি বিভাগের সকল আবেদন যাচাই কাজ শেষ করা হবে। আগামী মাসের (ফেব্রুয়ারি) প্রথম সপ্তাহে যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে পর্যাক্রমে পাঠদানের স্বীকৃতি দেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও স্বীকৃতি কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মোমিনুর রশিদ আমিন রোববার জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য নতুন করে পাঠদান স্বীকৃতি কার্যক্রম বন্ধ আছে। দীর্ঘদিন এটি বন্ধ থাকায় সারাদেশের দেড় হাজারের মতো আবেদন জমা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বীকৃতি প্রদানের জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানের অবস্থা, অবকাঠামো, পাসের হার, শিক্ষার্থী-শিক্ষক সংখ্যাসহ পাঠদানের অনুমোদন পাওয়ার পর দুই বছর হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে সন্তোষজনক প্রমাণ পাওয়া গেছে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেয়া হবে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি সভা হয়েছে। চারটি বিভাগের আবেদন যাচাই-বাছাই চূড়ান্ত পর্যায়ে। চলতি সপ্তাহে আরেকটি সভা হওয়ার কথা রয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে সকল বিভাগের আবেদন যাচাই-বাছাই কাজ শেষ করা হবে। যোগ্যতা অর্জন হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে স্বীকৃতি প্রদান করে নির্দেশনা জারি করা হবে।
পরবর্তীতে স্বীকৃতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।