বুয়েট ফের উত্তপ্ত, শিক্ষার্থীদের ৬ দফা পেশ

লেখক:
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

একটি বিশেষ রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের ঘটনায় ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় তারা ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে বাস্তবায়নসহ ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। একই সঙ্গে ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বুয়েট দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদের নৃশংস মৃত্যুর মাধ্যমে বুয়েট বাংলাদেশের সবচেয়ে নিরাপদ ক্যাম্পাসে রূপ নেয়।

তারা আরও বলেন, গত ২৮ মার্চ রাত ১টার দিকে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানতে পারি- বুয়েটে একটি বিশেষ রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের বেশ কজন শীর্ষস্থানীয় নেতা এসেছেন এবং তারা ক্যাম্পাসের মেইন গেইট দিয়েই প্রবেশ করে ভেতরে ঢুকেছেন। মধ্যরাতে বহিরাগত রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টদের এমন দাপটে প্রবেশ কর্তৃপক্ষ এবং ডিএসডাব্লিউ এর দৃষ্টির অগোচরে হওয়া অসম্ভব। ঘটনা ঘটে যাওয়ার দুই দিন পার হয়ে গেলেও ডিএসডাব্লিউ থেকে কোনো সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা করা হয়নি। ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে তারা প্রবেশের অনুমতি কীভাবে কর্তৃপক্ষ থেকে পেয়েছিল এই সম্পূর্ণ ব্যাপারটি এখনো ধোঁয়াশাপূর্ণ এবং সন্দেহের সঞ্চার করে যে কীভাবে এবং কার মদদে তারা প্রবেশ করতে পারলো। এসব কিছু সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে।

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো–

এক. বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার।

দুই. ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বুয়েটের বাকি শিক্ষার্থীরা, যারা ওই সমাগমে জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার চাই।

তিন. মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তি প্রবেশ করলো তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তারা কীভাবে প্রবেশের অনুমতি পেল এই ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

চার. ১ ও ২ নম্বর দাবি আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা, না হলে ডিএসডাব্লিউ’র পদত্যাগ।

পাঁচ. ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের প্রতিবাদে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন।

ছয়. আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি।