অনলাইন ডেস্ক :: গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিষপান করা এক সন্তানের জননী জেসমিন আক্তার মারা গেছেন। প্রায় পাঁচ মাস ধরে অসুস্থ থাকার পর শনিবার সকালে বাড়িতেই মারা যান ২৩ বছর বয়সী এ তরুণী। দুপুরে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
জেসমিন আক্তার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে। গত ১০ আগস্ট উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও এলাকায় বিয়েতে রাজি না হওয়ায় জেসমিনকে বিল্লাল ফরাজী (৪০) নামের এক ব্যক্তি মারধর করেন বলে অভিযোগ।
ওইদিন অপমান সইতে না পেরে ক্ষোভে জেসমিন ঘরে গিয়ে বিষ পান করে মাটিতে লুটে পড়েন। পরে তার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেড় মাস চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। ওই ঘটনার পর বিল্লাল মালয়েশিয়া চলে যান।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল মোল্লা বলেন, জেসমিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে জেসমিনের মা নূরজাহান আক্তার বিল্লাল ফরাজীকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নামে থানায় মামলা করেছেন।
জানা যায়, পাঁচ বছর আগে জেসমিন আক্তারের বিয়ে হয়। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় এক বছরের মাথায় তাদের ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর থেকে জেসমিন তার নুহা আক্তার নামে এক সন্তানকে নিয়ে তার বাপের বাড়ি বড়গাঁওয়ে থাকতেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল হেকিম বলেন, বিল্লাল ফরাজী খারাপ লোক। জেসমিন তার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বিল্লাল তাকে মারধর করে। পরে সে ওই পরিবারকে ভয়ভীতি দেখালে জেসমিন বিষপান করে।