বিসিসি নিবার্চনে কেএম শহিদুল্লাহ’র সমর্থনে ১২নং ওয়ার্ডবাসির বিশাল র‌্যালী

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে (বিসিসি) বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর কেএম শহিদুল্লাহর সমর্থনে ১২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিশাল র‌্যালি করেছে। র‌্যালির শেষে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উঠানে বৈঠকে কেমএ শহিদুল্লাহকে নির্বাচিত করার জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।

কেএম শহিদুল্লাহ সিটি কর্পোরেশনের তিনটি পরিষদের নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং তৃতীয় পরিষদের প্যানেল মেয়র-২ ছিলেন। তাছাড়া টানা ৬ বার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ বছর শহিদুল্লাহ ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

কেএম শহিদুল্লাহর দাবি তিনি এলাকার মানুষের চাহিদার প্রেক্ষিতে শতভাগ উন্নয়ন কর্মকান্ড করতে সক্ষম হয়েছেন। কখনো সিটি কর্পোরেশনের বিলের জন্য বসে না থেকে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে সচেষ্ট থাকায় এলাকাবাসী বারবার তাকে নির্বাচিত করে পুরষ্কৃত করছেন। আর নির্বাচিত হয়ে তিনিও পুরস্কারের প্রতিদান দিয়ে আসছেন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে।

অপরদিকে কেএম শহিদুল্লাহর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি গ্রুপ তার বিরুদ্ধে ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ সংবাদও প্রকাশ করিয়ে ভোটের মাঠে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করছে বলে ভোটাররা অভিযোগ করেন।

র‌্যালিতে আসা ভোটাররা জানান, শহিদ ভাই গত ১৫ বছর ধরে এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি এমনভাবে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন যে কারণে কারো কোন অভিযোগ নেই তার বিরুদ্ধে। এমনকি ওয়ার্ডের অলিগলি থেকে শুরু করে প্রতিটি ঘর তার পরিচিত। এ কারণে যেখানে যেটুকু উন্নয়ন প্রয়োজন হয়েছে সেভাবেই তিনি কাজ করেছেন।

আর অসহায় দরিদ্ররা এমনভাবে সহযোগিতা করেছেন তারাও এখন তার প্রচারনায় অংশ নিয়েছেন। যে কোন সমস্যায় তাকে খবর দেয়ার সাথে উপস্থিত হয়ে যাওয়ায় তড়িত গতিতে সমস্যাও দূর হয়ে যায়। এসব কারণে আবারো তাকে কাউন্সিলর হিসেবে আমরা দেখতে চাই। তার বিরুদ্ধে যতই অপপ্রচার চলুক তা এলাকার বাসিন্দারা কোনভাবে বিশ্বাস করবে না।

আমাদের দরকার একজন উন্নয়নশীল কাউন্সিলর। যে এলাকার উন্নয়নের সাথে সাথে আমাদের পরিবারের সমস্যাগুলো সমাধানে এগিয়ে আসবেন। শহিদুল্লাহ হচ্ছেন সে ধরনের একজন কাউন্সিল। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে কোন লাভ নেই।

র‌্যালিতে আসা এলাকাবাসী আরো জানান, শহিদুল্লাহর জনপ্রিয়তা দেখাতে আমাদের উদ্যোগেই আমরা এ র‌্যালির আয়োজন করেছি। র‌্যালিতে শুধু ধ্বনি ছিল শহিদ ভাই শহিদ ভাই। আরো শ্লোগান শোনা যায়নি। র‌্যালি ১২নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে সর্বশেষ ওয়াপদা কলোনীর মধ্যের সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে পানি উন্নয়ণ বোর্ড কার্যালয়ের সামনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে কাউন্সিলর প্রার্থী তাকে নির্বাচিত করার জন্য ভোট প্রার্থনা করেন। এর জবাবে ভোটাররা তাকে ওয়াদা করেন আপনার ভোট চাওয়ার প্রয়োজন নেই। আমাদের প্রয়োজনেই আমরা আবার আপনাকে কাউন্সিলর নির্বাচিত করে ফুলের মালা পড়িয়ে এলাকায় ঘোরাবো। নির্বাচিত হওয়ার পর আপনি আবার আমাদের দায়িত্ব নেবেন। এখন আপনার দায়িত্ব আমরা নিলাম।