ফ্রান্স কর্তৃক রসুলে পাক (স:) এর শানে বেয়াদবির প্রতিবাদে ছারছীনা দরবার শরীফের পক্ষ থেকে পিরোজপুর নেছারাবাদ স্বরূপকাঠির পৌরসভা ও উপজেলা চত্বর থেকে এক এক বিশাল জনসভা মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। লাখো লাখো মানুষের মুসল্লিদের ভিড় ও প্রতিবাদ করেন,তারেক এই সুরে আমার নবীকে অপমান যে করবে তাকে বাংলার মাটিতে রাখা যাবেনা।
ফ্রান্স কে নিষিদ্ধ ঘোষিত করা হবে এক বিশাল মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত মানব বন্ধনে নেতৃত্ব দান করেন ছারছীনা দরবার শরীফের আল হযরত পীর সাহেব হুজুর কেবলার সুযোগ্য বড় সাহেবজাদা ,আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ আবু নছর, নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন মাঃজিঃআঃ।
আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জমিয়তে হিযবুল্লাহর নায়েবে নাজেমে আলা মাওলানা নুরুর রহমান বেগ ছাহেব।এছাড়াও জমিয়তে হিযবুল্লাহ, যুব হিযবুল্লাহ ও ছাত্র হিযবুল্লাহর নেতৃবৃন্দ।
ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব কেবলার নির্দেশে বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহ । স্বরূপকাঠি বাজার বন্ধন শুরু করে ছারছীনা দরবার শরীফ থানা চত্বরে পৌরসভার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে শাহ ছাহেব হুজুর তার বক্তব্যে নিচের দাবিসমূহ তুলে ধরেন।
১।সংসদে নিন্দা প্রস্তাব
২।ফ্রান্সের সকল পন্য সকলের বর্জন
৩।বাংলাদেশে ব্লাশফেমি আইন পাশ
৪।সকল ইসলামী দলকে একসাথে বড় সমাবেশের আহবান। তাদের বক্তব্য বলেন,
ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে নবী প্রেমে দেওয়ানা হয়ে মুসলিম তৌহিদী জনতা আজ বজ্র কন্ঠে আওয়াজ তুলেছে সারা বাংলায়।উলামায়ে কেরাম ও নবীপ্রেমি রবিবার দুপুর একটার দিকে বিভিন্ন জামে মসজিদ ইমাম, মোয়াজ্জিন ছাড়াও ধর্মপ্রাণ মুসলিম তৌহিদী জনতা এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। রাসূলের অবমাননা, মেনে নেওয়া হবে না। বিশ্বনবীর অবমাননা, সহ্য করা হবে না। ফ্রান্সের পণ্য বর্জন কর,করতে হবে।ফ্রান্সকে জুতা মারো, ইসলামের শত্রুরা হুশিয়ার সাবধান ইত্যাদি বলে মিছিলে তারা শ্লোগান দেয়। মিছিলশেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিভিন্ন বক্তার বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, নবীজীর ব্যঙ্গচিত্র এঁকে আমাদের হৃদয়ে আঘাত করা হয়েছে। আমরা তা মেনে নিতে পারি না। এরজন্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাইতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে জাতিসংঘের মহাসচিবের নিকট তারা এর বিচার দাবি করেন। এছাড়া তারা বলেন, আমাদের দেশে ফ্রান্স তাদের পণ্য বিক্রি করে ওই অর্থ দিয়ে আমাদেরকেই আঘাত করবে তা হতে দেওয়া যায় না। এসময় তারা সকল মুসলমানকে ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান।