রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক, ধর্মীয় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মাঝে বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেল ২০১৮ সালের। পুরনো বছরের সব দুঃসহ স্মৃতি মুছে ফেলে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০১৯ সালকে বরণ করে নিতে শুরু করেছে বিশ্ববাসী। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জমকালো আয়োজনে বরণ করে নেয়া হয়েছে নতুন বছরকে।
ইউরোপ-আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে বর্ষবরণ।
কিরিবাতি
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্র কিরিবাতি সবার আগে ২০১৯ সালকে নীরবে বরণ করে নিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জোরালো ধাক্কায় বিপর্যস্ত কিরিবাতিতে এবারের বর্ষবরণে তেমন কোনো আয়োজনই করা হয়নি।
নিউজিল্যান্ড
তবে নতুন বছর ২০১৯ সালকে জমকালো আয়োজনে বিশ্বে প্রথম স্বাগত জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির অকল্যান্ডের বাসিন্দারা ৫০০ কেজির আঁতশবাজি পুড়িয়ে নতুন বছরকে প্রথম স্বাগত জানায়।
দেশটির ইংরেজি দৈনিক নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড বলছে, অকল্যান্ড হারবার ব্রিজ ও স্কাই টাওয়ারে বর্ণাঢ্য আলোকসজ্জায় ২০১৯ সালকে স্বাগত জানিয়েছে কিউইরা। আর এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে সবার প্রথমে বর্ষবরণ করল তারা।
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে প্রায় ৬ মাস আগে থেকেই এ উৎসবের প্রস্তুতি নিয়েছিল অকল্যান্ড শহর কর্তৃপক্ষ। স্কাই টাওয়ারে ৫ মিনিটের আলোকসজ্জায় ব্যয় করেছে কয়েক কোটি টাকা।
অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ারবৃহত্তম শহর সিডনি হারবোরে প্রায় ১০ লাখ মানুষ সমবেত হয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে। শহরের প্রত্যেকটি এলাকায় আয়োজন করা হয় চোখ ধাঁধানো সোনালি, পার্পল ও সিলভার রঙয়ের আঁতশবাজির। নতুন বছর বরণে মেতে উঠে শহরের সব শ্রেণি পেশার মানুষ।
ফিলিপাইন
সরকারি কঠোর বিধি নিষেধ সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার এই দেশে ২০১৯ সালকে বরণ করে নিতে অনেকেই আঁতশবাজির আয়োজন করে। তবে গত ১০ দিন ধরেই দেশটিতে আঁতশবাজির ঝলকানি চলে আসছিল। আনন্দ উদযাপনে শক্তিশালী আঁতশবাজির বিস্ফোরণে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে ফিলিপাইনে।
এছাড়াও উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, থা্ইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়ায় শুরু হয়েছে নতুন বর্ষবরণ।