বিশেষজ্ঞ মত মিয়ানমারের পদক্ষেপ হঠকারী

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

মিয়ানমারের এ ধরনের সৈন্য সমাবেশের দুটি কারণ হতে পারে। প্রথমত, দেশটির সেনাপ্রধান ও সেনা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্ব জনমতের দৃঢ়তায় ভীত ও সন্ত্রস্ত। সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত শেষ করার পাশাপাশি গণহত্যার জন্য মিয়ানমারের সেনাপ্রধানকে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান এসেছে।

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিকেও আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের মুখোমুখি করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী তিনজন। এ অবস্থায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের অভাবেই সীমান্তে সেনা সমাবেশ ঘটিয়ে থাকতে পারে। দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলরের প্রশাসন যেসব চুক্তি করেছে সেগুলো মেনে নিতে পারছে না মিয়ানমারের সেনা প্রশাসন। এ কারণেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন থেকে দৃষ্টি সরাতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। তবে যে কারণেই সীমান্তের দেড়শ’ গজের মধ্যে মিয়ানমার সেনা সমাবেশ ঘটাক, তা খুবই দুঃখজনক। এটা দেশটির হঠকারী পদক্ষেপ। বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও অত্যন্ত নেতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখবে।

বাংলাদেশ সব সময়ই শান্তির পথে সংকটের সমাধান চেয়েছে এবং বিশ্বে বাংলাদেশের এ অবস্থান প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশ দক্ষতার সঙ্গেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম।

(সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও কূটনীতি বিশ্নেষক)