বিশেষ স্পিনে ভুগেছিল স্মিথরা

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

ঢাকা টেস্টে বিশেষ ডেলিভারিতে অজিদের প্রতিরোধ ভেঙ্গেছিলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। স্পিন কোচ সুনীল যোশি জানিয়েছেন ধারণাটা টাইগার স্পিনাররা পেয়েছেন আশউইন-জাদেজাদের কাছ থেকে। অনুশীলনে সে ডেলিভারির খুঁটিনাটি নিয়ে কাজ করছেন যোশি। চট্টগ্রাম টেস্টে অজি ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা আরো কঠিন হবে- হুংকার টাইগার স্পিন গুরুর।

স্পিন বিষে মিরপুরের সিরিজ ওপেনারে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া। ২০ অজি উইকেটের ১৯টি নিয়েছেন সাকিব, মিরাজ, তাইজুলের স্পিন ট্রিনিটি। দশ মাস আগে এই তিন স্পিনারের সামনে আত্মসমর্পণ করেছিল ইংল্যান্ড। তবে টাইগার স্পিন কোচ সুনীল জোশি বলছেন, নতুন স্পিন অস্ত্র নিয়েই মিরপুরে নেমেছিলেন সাকিবরা। বিশেষ সে ডেলিভারির ধারণা তারা পেয়েছিলেন সবশেষ বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ থেকে যেখানে স্পিন জুটি জাদেজা- আশউইন মিলে বধ করেছিলেন মোট ৪৬ অজি উইকেট।

খোলাসা করেননি জোশি তবে অজি ব্যাটসম্যানদের আউট হবার ধরণ থেকে পাওয়া যাচ্ছে ধারণা। বিশেষ এই ডেলিভারি অফস্পিনার মিরাজ কাজে লাগিয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে লেফট আর্ম অর্থোডক্স সাকিব-তাইজুল কাজে লাগিয়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে। বিশেষ এই ডেলিভারি স্টক বলের মত বেরিয়ে না গিয়ে সোজা স্কিড করেছে উইকেটের দিকে আর সেটা বুঝতে না পেরে ম্যাচে এলবিডাব্লিউ হয়েছেন মোট পাঁচ অজি ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশের স্পিনিং কোচ সুনীল জোশি বলেন, ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা একটি নির্দিষ্ট ডেলিভারিতে ভুগেছে সিরিজ শেষ হবার আগে রহস্যটা জানিয়ে দিতে চাইনা। বাংলাদেশি স্পিনারদের সাথে ওই ডেলিভারি নিয়ে কাজ করছি।

স্পিন ভীতি কাজ করছিল সিরিজ শুরুর আগে থেকে। স্পেশাল প্র্যাকটিস সেশনে সাকিব-মিরাজদের মোকালিয়ায় প্রস্তুতি সেরেছিলেন ভিন্ন ভাবে। কিন্তু মাঠের ক্রিকেটে কাজে লাগল কই? স্মিথদের স্পিনে অসহায় আত্মসমর্থন ব্রিব্রত করছে সাবেকদের। শুধু ক্রিকেটার নয় প্রশ্ন উঠছে কোচিং স্টাফের সামর্থ্য নিয়ে।

অস্ট্রেলিয়া সাবেক অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল বলেন, স্পিন খেলা শিখতে হলে আপনাকে শৈশব থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। কোচদের কাজে আমি রীতিমত বিরক্ত। আমার মনে হয়না নিজের কাজটা ওরা খুব ভালো জানেন। কেবল কোচিং ম্যানুয়েল অনুসরণ করে আপনি একজনকে স্পিন খেলা শেখাতে পারবেননা।

হোয়াইট ওয়াশের পাশাপাশি র‍্যাঙ্কিংয়ে অবনমনের শঙ্কা অজিদের সামনে। কিন্তু চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে চোখ রাঙাচ্ছেন স্পিনাররা। মান বাঁচানোর লড়াইয়ে অসম্ভবকে জয় করার চ্যালেঞ্জ অস্ট্রেলিয়ার সামনে।