ডিবেটার্স কমিউনিটি অফ বরিশাল – ডিইসিবি, বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় বিতর্ক সংগঠন হিসেবে বিতর্ক অঙ্গনে আলো ছড়াচ্ছে। বরিশাল বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বিতার্কিক সৃষ্টি তে সম্ভাবনাময় সংগঠন ডিইসিবি।
বরিশালের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ,স্কুল ও মাদ্রাসা গুলোতে বিতার্কিক সৃষ্টি করার লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে কাজ করে আসছে ডিইসিবি।
২০১৮ সনে প্রতিষ্ঠিত হয় ডিবেটার্স কমিউনিটি অফ বরিশাল – ডিইসিবি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই পর্যন্ত ক্লাস অফ ডিবেট কর্মশালার মাধ্যমে বরিশাল বিভাগের তিন হাজার বিতার্কিকদের মাঝে কর্মশালা আয়োজন করা হয়।বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সাথে অবসর সময়ে বিতর্ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।এর ফলে বিতার্কিকরা সংসদীয় বিতর্ক, সনাতনী বিতর্ক, রম্য বিতর্ক, প্লানচেট বিতর্ক, বারোয়ারি বিতর্ক, পেশাজীবি বিতর্ক, রাজনৈতিক বিতর্ক সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।সৃজনশীল মেধা বিকাশের অন্যতম মাধ্যম ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা কখনো বিতর্ক করার সুযোগ পায়নি,তাদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে ডিইসিবি।প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষকদের মাধ্যমে কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। যার ফলে শিক্ষকরা নিজেরাও বিতর্ক চর্চায় ধাবিত হচ্ছে।
ইতিমধ্যে অনলাইন বিতর্ক প্রশিক্ষণ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বরিশালের বাহিরেও সমগ্র দেশের বিতার্কিকদের সাথে কাজ করছে ডিইসিবি। দেশসেরা বিতার্কিকদের মাধ্যমে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যেখানে দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিতার্কিক গন অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।
বরিশাল বিভাগে ইতিমধ্যেই তিনটি বিতর্ক চ্যাম্পিয়নশীপের সফল আয়োজন করেছেন ডিইসিবি। যেখানে উৎসব মুখর পরিবেশে বিতর্কে অংশগ্রহণ করে বরিশালের বিতার্কিক গন।
৪র্থ বিতর্ক চ্যাম্পিয়নশীপ বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ডিইসিবি। ডিইসিবি আশা করছে, সকল আয়োজনের থেকে বড় পরিসরে এবার আয়োজন করবে তারা।ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছেন এই আয়োজন সফল করার উদ্দেশ্যে।যা একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী বিতর্ক অঙ্গনের জন্য।
ডিবেটার্স কমিউনিটি অফ বরিশালের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ সুমন বলেন, বিতর্ক একটা শিল্প, যা কথা বলতে এবং নেতৃত্ব প্রদানের জন্য প্রয়োজন।ডিইসিবি বরিশালের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করতে চায়।বিতার্কিক সৃষ্টি করা ই ডিইসিবির প্রধান লক্ষ্য। ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ডিইসিবির সাথে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।এর ফলে কাজ করার সুযোগ বৃদ্ধি হয়েছে।
যত বেশি মানুষ বিতর্ক শিল্পের সাথে জড়িত হবে,কাজ করার যায়গা তত বৃদ্ধি পাবে।তিনি আরো বলেন,ডিইসিবি শুধু মাত্র বিতর্ক নিয়ে কাজ করেনা।সমাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করে।করোনা কালীন সময়ে জেলা প্রশাসনের সাথে কাজ করেছে ডিইসিবি। তাছাড়া শীত বস্র বিতরন,শিশুদের খাবার বিতরণ, মেহেদী উৎসব সহ বিভিন্ন কাজ করা হয়।বিতার্কিকদের শিক্ষা উপকরণ উপহার ও শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করে ডিইসিবি। ইনশাআল্লাহ, বিতর্ক অঙ্গনে আলোকিত সংগঠনে রূপ নিবে ডিইসিবি।