দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের সর্বোচ্চ শ্রম ও দায়বদ্ধতা নিয়ে জাতীয় উন্নয়নে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশ-বিদেশে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এমএস, এমফিল, পিএইচডি, ও পিএইচডি-উত্তর প্রোগ্রামের জন্য বঙ্গবন্ধু ফোলোশিপ দিচ্ছি। ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৫৯৬ জনকে ২২৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা দিয়েছি। এছাড়াও এমফিল, পিএইচডি ও পিএইচডি-উত্তর পর্যায়ে ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ২২ হাজার ২২০ ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকদের মধ্যে ১৩৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ দিয়েছি। পাশাপাশি ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৫ হাজার ২০টি প্রকল্পের অনুকূলে ১৭৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বিশেষ অনুদান দিয়েছি।
বিজ্ঞানী ও গবেষকদের উদ্দেশ্যে সরকারপ্রধান বলেন, দেশের মানুষের দেওয়া রাজস্ব থেকে আপনাদের ফেলোশিপ/গবেষণা অনুদান দিচ্ছি। আপনাদের সর্বোচ্চ শ্রম ও দায়বদ্ধতা নিয়ে জাতীয় উন্নয়নে কাজ করতে হবে। আমাদের সরকার দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে বদ্ধপরিকর। মনে রাখবেন, আপনাদের উদ্ভাবনী জ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ যেন মানুষের কল্যাণে হয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী দেশীয় মেধাকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে প্রযুক্তিনির্ভর করে গড়ে তুলতে চাই। প্রত্যেকে মানুষের ন্যূনতম প্রযুক্তিজ্ঞান থাকুক, সেটা চাই। প্রযুক্তি বিভেদ দূর করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।
এসময় সবাইকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যদিও সবকিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তারপরও সবাই টিকা নিয়ে নেবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে একসময় ভয় ও অনীহা ছিল, এখন আগ্রহ বেড়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এখন ১২ বছর পর্যন্ত শিশুদেরও টিকা দিচ্ছি। প্রাইমারি লেভেলেও দেওয়া যায় কি না, অনুমতি চেয়েছি। অনুমতি মিললে প্রাইমারিতেও টিকা দিয়ে দেবো। তখন আর কোনো সমস্যা থাকবে না।