কৃষকের গল্পটাতো সবারই জানা। সে একটি হাস পেয়েছিল যা তাকে রোজ একটি করে সোনার ডিম দিত। কিন্তু অতি লোভী কৃষকের বউ বুদ্ধি দিল প্রতিদিন একটা করে পাওয়ার চেয়ে একসাথে সবগুলো পাওয়ার জন্য হাসের পেট কাটা উচিত। বউর বুদ্ধিতে পেট কেটে দেখা গেল রক্ত-মাংশ ছাড়া আর কিছুই নেই। শেষ রোজ একটা করে পাওয়া ডিমও বন্ধ হয়ে গেল।
বার্সালোনার অবস্থাটা হয়েছে ঠিক তেমনই। তাদের সোনার ডিম পাড়া হাসটার নাম ছিল কৌতিনহো। কিন্তু সেই হাস তারা ছেড়ে দিল ডিম না পাড়ার অজুহাতে।
লিভারপুলে অতিমানাবীয় পারফর্মেন্স ছিল কৌতিনহো। কিন্তু এই সবই ছিল অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে খেলা কৌতিনহোর। বার্সালোনাতে প্রথম দিকে নিজের পজিশনেই খেলতেন কৌতিনহো। তাই শুরুতে দলের সাথে মানিয়ে নেয়ার পর দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন তিনি।
কিন্তু পরের মৌসুমেই শুরু হয় সংগ্রাম। কৃষকের লোভী বউর মত বার্সা কোচ ভালভার্দে নেইমারের অভাব পূরণের জন্য কৌতিনহোকে লেফট উইংয়ে খেলানো শুরু করেন। আর এতে করে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে কৌতিনহো।
শেষ পর্যন্ত বার্সালোনার একাদশে জায়গা হারান কৌতিনহো। এরমধ্যে বার্সা কোচ একটি বারের জন্যও তাকে অ্যাটাকিং মিডে চেষ্টাও করেনি। ফলাফল স্বরুপ ক্যারিয়ার বাঁচাতে কৌতিনহো বার্সা ছাড়তে রাজি হয় এবং সে চলে যায়। আর সেই চলে যাওয়া কৌতিনহো যে একটা সোনার ডিম পাড়া হাস সেটাই দেখা যাচ্ছে পূনরায়।
কিন্তু পার্থক্য শুধু একটাই। সেই সোনার ডিম এখন প্রতি রাতে একটি করে পায় বায়ার্ন। বার্সালোনা এখন কেবল কপালই চাপড়াতে পারে।