আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণকারী একমাত্র সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ ডিসেম্বর। বুধবার (২৫ নভেম্বর) বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট কমিটি বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বার কাউন্সিল সচিব মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আগামী ১৯ ডিসেম্বর ঢাকা শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে এই পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে (২৫ নভেম্বর) বিকেলে একটি জরুরি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বার কাউন্সিলের নোটিশে বলা হয়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্থগিত করা এনরোলমেন্ট লিখিত পরীক্ষা আগামী ১৯ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
২৬ সেপ্টেম্বর বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করে গত ২০ সেপ্টেম্বর নোটিশ দেয় বার কাউন্সিল। ওই দিনের নোটিশে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৩ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনাকালীন পরিস্থিতির কারণে এবং বিভিন্ন কেন্দ্র শেষ মুহূর্তে পরীক্ষা গ্রহণে অসম্মতি প্রকাশ করায় পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্বল্প সময়ের নোটিশে পরীক্ষাটি পরবর্তী সময়ে গ্রহণ করা হবে।
এরপর থেকে লিখিত পরীক্ষা না নিয়ে সরাসরি ভাইভা পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রায় ১৩ হাজার আইন শিক্ষার্থী রাজপথে আন্দোলন, বিক্ষোভ ও সভা-সমাবেশ করে আসছেন।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী, আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য আইনের শিক্ষার্থীদের প্রথমে এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এমসিকিউতে উত্তীর্ণরা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই আইনজীবী হিসেবে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়। এমসিকিউতে উত্তীর্ণ হলে তাদের পরবর্তী ধাপ লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়।
সে অনুযায়ী এমসিকিউতে উত্তীর্ণ ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ না হওয়ায় ২০১৭ সালে বাদ পড়েন তিন হাজার ৫৯০ পরীক্ষার্থী।
২০২০ সালে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মধ্যে এমসিকিউতে উত্তীর্ণ হন আট হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থী। এ নিয়ে মোট ১২ হাজার ৮৫৮ জন সনদপ্রত্যাশী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অপেক্ষায়