বানর কেড়ে নিলো সামান্থার সানগ্লাস

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। গত অক্টোবরে তিনি জানান, মায়োসাইটিস নামে এক জটিল রোগে ভুগছেন তিনি। আপাতত শুটিং থেকে বিরতি নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ছুটি কাটাচ্ছেন। সেখান থেকে নানা মুহূর্ত ভাগ করে নিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাশাপাশি এ-ও জানালেন, একটি বানর তার সানগ্লাস কেড়ে নিয়েছে।

বুধবার (২৬ জুলাই) ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সামান্থা সানগ্লাস পরা একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, দাঁড়িয়ে আছেন সামান্থা। তার চোখে কালো রঙের একটি চশমা। তার পেছন থেকে একটি বানর উঁকি মারছে। ছবিটিতে তিনি লিখেছেন, ‘শেষবার আমি আমার ছায়া দেখেছি।’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন দুঃখের ইমোজি।

 

পরবর্তীতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন সামান্থা। তাতে দেখা যায়, একটি বানর সামান্থার সানগ্লাস ধরে আছে। এক ব্যক্তি সানগ্লাসটি উদ্ধার করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এতে সামান্থা লিখেন, ‘আচ্ছা! সত্যি তার পছন্দ ভালো।’

চলতি মাসের শুরুর দিকে ইন্ডিয়া টুডে-কে এক সূত্র বলেন—‘অভিনয় থেকে এক বছরের জন্য বিরতি নেবেন সামান্থা রুথ প্রভু। এজন্য নতুন কোনো তেলেগু বা বলিউড সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হননি তিনি। এই এক বছর সুস্থ হওয়ার জন্য ব্যয় করবেন।’

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যবিষয়ক অন্যতম নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট এনএইচএস জানাচ্ছে, সাধারণত শরীরের যেসব জায়গায় বোন টিস্যু হওয়ার কথা নয়, সেখানে এ ধরনের টিস্যু জন্মালে মায়োসাইটিস হয়। অনেক সময় বড় কোনো আঘাত বা শরীরের ভেতরে কোনো জখম হলে সেখান থেকে মায়োসাইটিস হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এর কারণ জানা যায় না। মায়োসাইটিস হলে মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। হাঁটতে, চলতে, এমনকি আঙুল নাড়াতেও তীব্র ব্যথা অনুভব হয়। এর চিকিৎসাপদ্ধতিও জটিল ও কষ্টদায়ক।

 

সামান্থা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘শকুন্তলম’। এর নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। ‘শকুন্তলা’ অবলম্বনে মিথলজিক্যাল ড্রামা ঘরানার এ সিনেমার চিত্রনাট্য রচনা করেছেন পরিচালক গুনাশেখর। গত ১৪ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তেলেগু ভাষার এই সিনেমা।