বাথরুমে গেলেন আসামি, এখনো হদিস মেলেনি

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশু অপহরণ মামলার আসামি দুখু মিয়া হ্যান্ডকাপ পরিহিত অবস্থায় পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বরিশাল পুলিশ লাইনের এসআই মো. আমিনুল ইসলাম ও কনস্টেবল মো. রিয়াজুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার রাত ২টার দিকে হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের চারতলার বাথরুমের গ্রিল ভেঙে হ্যান্ডকাপ পরিহিত অবস্থায় পালিয়ে যান দুখু মিয়া। দুখু মিয়া নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে।

কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, এক মাস আগে ফতুল্লা এলাকা থেকে এক শিশুকে অপহরণ করে পরিবারের কাছে প্রথমে ১৫ লাখ মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় অপহরণ মামলা হয়। ওই মামলায় গত ৪ মার্চ বরিশাল নগরীর পলাশপুর ৮ নম্বর বস্তি থেকে দুখু মিয়াকে গ্রেফতার করে পিবিআই। এ সময় গ্রেফতার এড়াতে দুখু মিয়া গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ওই সময় তার গলা কেটে যায়। আহত অবস্থায় ওই দিনই তাকে শের-ই-বাংলা মেডিকেলের নাক-কান-গলা বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দুখু মিয়া।

শের-ই-বাংলা মেডিকেলের নাক-কান গলা বিভাগের প্রধান ডা. এসএম সরোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ওয়ার্ডের নার্সরা দুখু মিয়া পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমাকে জানান। সোমবার রাত ২টার দিকে দুখু মিয়া হ্যান্ডকাপ পরিহিত অবস্থায় বাথরুমে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। পরবর্তীতে দুখু মিয়াকে আর বাথরুমের ভেতরে পাওয়া যায়নি। বাথরুমের গ্রিল ভেঙে চারতলা থেকে পাইপ বেয়ে নিচে নেমে পালিয়ে যায় দুখু মিয়া।

কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, দুখু মিয়ার পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে সকালে পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পুলিশ লাইনের এসআই মো. আমিনুল ইসলাম ও কনস্টেবল মো. রিয়াজুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।