বাইডেনের বিজয়ে খুশি হতেই পারেন মুসলমানরা

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের বিজয়ে মুসলমানদের খুশি হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কূটনীতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. এম শাহিদুজ্জামান।

তিনি বলেছেন, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদ নীতিতে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট দলের মধ্য কোনো তফাৎ লক্ষ্য করা যায় না। উভয় দলই দখলদারিত্ব বজায় রেখে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে।

জো বাইডেনের বিজয় এবং মুসলমানদের প্রসঙ্গ নিয়ে রোববার (৮ নভেম্বর) কাছে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ড. শাহিদুজ্জামান।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচন মুসলমানদের জন্য খুবই অর্থবহ ছিল বলে আমি মনে করি। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ছিলেন রীতিমত উগ্র, বদমেজাজী ও মুসলিম বিদ্বেষী। তিনি ক্ষমতায় এসে ইসলাম এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিলেন। অভিবাসন বিল এনে মুসলমানদের হয়রানি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে ও বাইরে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্প। এই বিরুদ্ধ অবস্থানের খানিক অবসান ঘটতেই পারে বাইডেনের নেতৃত্বে।

এই বিশ্লেষক বলেন, ট্রাম্প ছিলেন ধর্মবিদ্বেষী, প্রায় উন্মাদ আর বাচাল প্রকৃতির, যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যায় না। সিরিয়া-লিবিয়ার ব্যাপারে আমরা ট্রাম্পের বিধ্বংসী নীতি দেখেছি। ইসরাইলকে সমর্থন করতে আরব দেশগুলোকে যেভাবে চাপ দিয়েছে তা ইতিপূর্বে দেখা যায়নি। ইরানের সঙ্গে যে আচরণ করেছে, তাও ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাবের প্রকাশ। পারমাণবিক ইস্যুতেও ইরানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন ড্রোন হামলায় জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যা করে ইরানের মানুষকে আহত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প আরব বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করতে সৌদি আরবকে যেভাবে নির্লজ্জের মতো সমর্থন করেছে, তা সবাইকে অসম্মান করেছে। আমার কাছে মনে হয়, জো বাইডেন অন্তত এই দূরত্ব কমিয়ে আমার চেষ্টা করবেন। তিনি মানবিক বিষয়ে সোচ্চার হবেন। বাইডেন ধার্মিক ও ক্যাথলিক খ্রিষ্টান হওয়ায় এমনটা আশা করতেই পারি।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ড. শাহিদুজ্জামান বলেন, জো বাইডেন বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করবেন বলে মনে করি। ট্রাম্প মোদি সরকারকে নগ্নভাবে সমর্থন করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সম্পর্কে যে প্রভাব রেখেছিলেন, তার ইতি টানবেন বাইডেন। গণতন্ত্র, সংহতির প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিষয়ে আরও সজাগ থাকবে। অন্তত ভারতের চিন্তার প্রতিফলন নাও ঘটতে পারে, যা মানুষ চায়।