আজহারুল ইসলাম: আলোচনা সমালোচনার ঝড় ভয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ নিয়ে। আইনের ছাত্র হিসেবে সমালোচনা করার অধিকার অব্যশই আছে তবে সেটা হতে হবে ঘটনমূলক। তাহলে আগে একটু দেখি,কেন এই আইন নিয়ে এতো ভয় সাংবাধিক সমাজে-
এই আইনের আওতায় কেউ যদি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনও ধরনের প্রপাগান্ডা চালান, তাহলে ১৪ বছরের জেল ও এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ২৮ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি ধর্মীয় বোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে, তাহলে ১০ বছরের জেল ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
নতুন আইনের ২৯ ধারায় বলা হয়েছে, মানহানিকর কোনও তথ্য দিলে তিন বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া, ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কেউ যদি বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কোনও ধরনের তথ্য উপাত্ত, যেকোনও ধরনের ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি দিয়ে গোপনে রেকর্ড করে, তাহলে সেটা গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ হবে এবং এ অপরাধে ১৪ বছর কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডর বিধান রাখা হয়েছে।
আইনে বলা হযেছে, কেউ যদি বেআইনিভাবে কারও ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে, তাহলে তাকে সাত বছরের জেল ও ২৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। বেআইনিভাবে অন্য সাইটে প্রবেশ করার পর যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হন, তবে ১৪ বছরের জেল ও এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডর
বিধান রাখা হয়েছে।। আবার কেউ যদি বেআইনিভাবে কারও ডিভাইসে প্রবেশ করে তাহলে এক বছরের জেল ও তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডর বিধান রাখা হয়েছে। কেউ যদি কারও ডিভাইসে প্রবেশে সহায়তা করে, তাহলে তিন বছরের জেল ও তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৭ ধারায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ যদি জনগণকে ভয়ভীতি দেখায় এবং রাষ্ট্রের ক্ষতি করে, তাহলে ১৪ বছরের জেল ও এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
২৫ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল মাধ্যমে আক্রমণাত্মক ভয়ভীতি দেখায়, তাহলে তাকে তিন বছরের জেল ও তিন লাখ টাকা জরিমানাসহ উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
৩০ ধারায় বলা হয়েছে, না জানিয়ে কেউ যদি কোনও ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে ব্যাংক-বীমায় ই-ট্রানজেকশন করে, তাহলে পাঁচ বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ৩১ ধারায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করলে সাত বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।য় কেউ যদি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনও ধরনের প্রপাগান্ডা চালান, তাহলে ১৪ বছরের জেল ও এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ২৮ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি ধর্মীয় বোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে, তাহলে ১০ বছরের জেল ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
নতুন আইনের ২৯ ধারায় বলা হয়েছে, মানহানিকর কোনও তথ্য দিলে তিন বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া, ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কেউ যদি বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কোনও ধরনের তথ্য উপাত্ত, যেকোনও ধরনের ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি দিয়ে গোপনে রেকর্ড করে, তাহলে সেটা গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ হবে এবং এ অপরাধে ১৪ বছর কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডর বিধান রাখা হয়েছে।
আইনে বলা হযেছে, কেউ যদি বেআইনিভাবে কারও ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে, তাহলে তাকে সাত বছরের জেল ও ২৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। বেআইনিভাবে অন্য সাইটে প্রবেশ করার পর যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হন, তবে ১৪ বছরের জেল ও এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডর বিধান রাখা হয়েছে।। আবার কেউ যদি বেআইনিভাবে কারও ডিভাইসে প্রবেশ করে তাহলে এক বছরের জেল ও তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডর বিধান রাখা হয়েছে। কেউ যদি কারও ডিভাইসে প্রবেশে সহায়তা করে, তাহলে তিন বছরের জেল ও তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৭ ধারায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ যদি জনগণকে ভয়ভীতি দেখায় এবং রাষ্ট্রের ক্ষতি করে, তাহলে ১৪ বছরের জেল ও এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
২৫ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল মাধ্যমে আক্রমণাত্মক ভয়ভীতি দেখায়, তাহলে তাকে তিন বছরের জেল ও তিন লাখ টাকা জরিমানাসহ উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
৩০ ধারায় বলা হয়েছে, না জানিয়ে কেউ যদি কোনও ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে ব্যাংক-বীমায় ই-ট্রানজেকশন করে, তাহলে পাঁচ বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ৩১ ধারায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করলে সাত বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এখন আসি মূল আলোচনায়। আমাদের সমাজে হলুদ সাংবাধিকের অভাব নাই। তারা পুটি মাছকে এমনভাবে ইলিশ বানিয়ে প্রচার করে যার ফলে সমাজে যে কোন সময় অরাজগতা ও বিশৃখ্ঙলা সৃষ্টি হতে পারে। তারপর এর দায়ভার কে নিবে। অব্যশই রাষ্টকে নিতে হবে। হলুদ সাংবাধিকতা করে অরাজগতা সৃষ্টি করা যায় কিন্তু আসল সমস্যা সমাধান রাষ্টেরই করতে হয়।
আমাদের মধ্যে বাজে বা খারাপ কথাটা পুরোপুরি বিশ্বাস ও গ্রহন করার প্রবণতা অনেক আগে থেকেই। মনেকরুন, আজকে আমি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র। একজন আইনের ছাত্র হিসেবে আমার সবসময়ই উচিত আইন ও রাষ্টের প্রতি অনুগত্য ও শ্রদ্ধাশীল থাকা । কোন একটা প্রিন্ট মিডিয়া টাকার বিনিময়ে একটা বাজে লেখা বা ধর্ষনের মত নিউজ করলো যে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্রের ধর্ষনের লীলাখেলা। প্রচার হবার সাথে সাথে মানুষের মধ্যে আমাকে নিয়ে ও আমার পরিবার, এলাকা, এমনকি আমার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বাজে মন্তব্য সহ নানান কথা বার্তা শুনতে হবে। আসলে কি আমি অপরাধটি করেছি কি না সেটা খোজ করবে না মানুষ। এটাই নিয়ম। হয়তো এই নিউজ পড়ার পর আমার মা বাবা Suicide. এর মতো সিধান্ত নিতেও দ্বিধা করবে না কারন আমরা রক্ষণশীল পরিবার।
তাহলে দেখুন, একটা মিথ্যা নিউজের কারনে কতভাবে আমি প্রভাবিত হচ্ছি,রাষ্ট প্রভাবিত হচ্ছে। বাংলাদেশে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে মিথ্যা সংবাদের উপর।অনেক উদাহরন দিতে পারবো। এই আইনের ফলে হলুদ সাংবাধিকরা আরো সাবধান হবে সেদিক থেকে দেশের কল্যানের জন্যই এই আইন করা হয়েছে । এছাড়া আমাদের পাস্ববর্তি দেশ মালয়শিয়াতে এমন একটি কঠোর আইন করা হয়েছে। আমি যদি ভুল না করি তাহলে শাস্তির পরিমানটা মালয়শিয়ায় সম্ভবত আরো বেশি দেয়া হয়েছে। তাই, সকল সাংবাধিকদের ভাইদের আমি বলবো, আপনারা সত্য প্রচার করেন তাহলের আপনাদের কোন ভয় নেই। আপনাদের একটি মিথ্যা নিউজ, একটি পরিবার, সমাজ ও দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে।
—-আজহারুল ইসলাম, আইন বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।