বাংলাদেশ যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। কেননা মিয়ানমারের এ নাগরিকরা দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করায় বাংলাদেশের মানুষ নানামুখী জটিলতার মুখে পড়ছে। বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।আজ রোববার ঢাকায় একটি অভিজাত হোটেলে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত দেশগুলোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠককে সামনে রেখে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। ‘মিটিং অন স্মার্ট প্লিজেস’শীর্ষক এ বৈঠকে যোগ দেন জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল, ডিপার্টমেন্ট অব ফিল্ড সাপোর্ট লিসা এম বাটেনহেইম।আগামী ১৪ ও ১৫ নভেম্বর কানাডার ভ্যানকুভারে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সভার প্রস্তুতিমূলক সভা ছিল এটি।
সভায় ২২টি দেশের অন্তত ৬০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিগত নির্মূলের হাত থেকে বাঁচার জন্য গত ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমার থেকে কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের স্থান ও সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও শুধু মানবিক কারণে তাদের আমরা সহায়তা করছি। এর আগে থেকে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল। এতে করে বাংলাদেশে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, আন্তর্জাতিক সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, প্রতিনিয়তই নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা। দারিদ্র্য ও সংঘর্ষ ছাড়াও জলবায়ু ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া রোগ, বৈষম্য-নির্যাতন ও উচ্ছেদের মতো অন্যান্য বৈশ্বিক ইস্যুগুলো মানবতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ মিশনের অন্যতম বৃহত্তর সৈন্য সরবরাহকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কখনোই পিছপা হবে না। আমরা শান্তিরক্ষা মিশনে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর ব্যাপারে জোর দিচ্ছি। আগামী দুই দিনের বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা জাতিসংঘের ডাকে কিভাবে আরো সাড়া দেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন।