বরিশালে ৩০৫টি অভিযানে সাড়ে ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রায় তিনমাস সময়ে করোনা পরিস্থিতির প্রথম ১০ মার্চ থেকে ৫ জুন, বরিশাল জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত, নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার নিয়ন্ত্রন ও মাস্ক, স্যানিটাইজার মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিচালিত ৩০৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বরিশাল জেলা প্রশাসন।

 মোট মোবাইল কোর্টঃ ৩০৫টি
 জরিমানাকৃত ব্যক্তির সংখ্যাঃ ৪৭৫ জন
 জরিমানাকৃত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাঃ ৬৬৯ টি
 জরিমানার পরিমাণঃ ৪৪ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৫০ টাকা
 কারাদন্ড দেওয়া হয়েছেঃ ৪৯ জন ব্যক্তিকে (বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড)
 বিভিন্ন অভিযোগে সীলগালাকৃত প্রতিষ্ঠানঃ১২টি

করোনাভাইরাস শুরু হওয়া থেকে ৩০৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪৭৫ জন কে জরিমানা ও ৬৬৯ টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে। জরিমানাকৃত অর্থ ৪৪ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৫০ টাকা।

এছাড়া ৪৯জন ব্যাক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও বিভিন্ন অভিযোগে ১২টি প্রতিষ্ঠান সীলগালা করে দেয় মোবাইল কোর্ট।

আজ সকাল করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সাধারণ ছুটি শেষে সম্প্রতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সরকার কর্তৃক গণপরিবহন চলাচলের অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসগুলো যাত্রী তুলছে কিনা এবং সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করার জন্য বরিশালের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট  এস,এম, অজিয়র রহমান-এর নির্দেশনায় বরিশালের নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সকাল ১১ঃ০০ টা থেকে অভিযান পরিচালনা করেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাৎ হোসেন ।

এসময় স্বাস্থ্যবিধি ও নির্ধারিত ভাড়া তালিকা মেনে চলতে প্রতিটি বাস কাউন্টারে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নির্ধারিত সংখ্যার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করার অপরাধে দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা মোতাবেক ৩ টি মাইক্রোবাস চালককে ১৫,০০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন র‍্যাব ৮ এর একটি টিম ।

অভিযান শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টট শাহাদাৎ হোসেন জানান জনস্বার্থে বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সময়ঃ ১০ থেকে দুপুর ১২পর্যন্ত টরকী বাজার, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড, ও গৌরনদী বন্দর বাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আলী সুজাে এসময় ৮ টি মামলা এবং মোট অর্থদণ্ডঃ ১২০০০ টাকা।

জেলি মিশ্রিত চিংড়ি বিক্রয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গৌরনদী উপজেলার টরকী ও গৌরনদী বন্দর বাজারে এ মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে মাছের বাজার পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য ওজন বাড়ানোর জন্য চিংড়ির পেটে ক্ষতিকারক জেলি পুশ করা হয়। এই জেলি মিশ্রিত চিংড়ি মাছ রান্না করে খেলে খাদ্যনালি মুখগহ্বরে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাজার মনিটরিং এর সময় জেলি মিশ্রিত চিংড়ির বিভিন্ন ক্ষতিকারক দিক নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সচেতন করা হয়। পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মনিটরিং করা হয়। এ সময় পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করায় ২টি দোকানকে ভোক্তা অধিকার আইনের ৩৭ ধারায় ৪০০০ টাকা এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ১টি দোকানকে একই আইনের ৩৮ ধারায় ১০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। তাছাড়া বিক্রেতা কর্তৃক অবহেলা, দায়িত্বহীনতা বা অসতর্কতা দ্বারা ক্রেতার অর্থ, স্বাস্থ্য বা জীবনহানীর সম্ভাবনা থাকায় ভোক্তা অধিকার আইনের ৫৩ ধারায় ১টি খাবার হোটেল ও ৪টি মিষ্টির দোকানকে ৭০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অধিকন্তু গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসগুলো যাত্রী তুলছে কিনা এবং বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া কতটা মানা হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হয়।

উক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় গৌরনদী থানা পুলিশ সহযোগিতা করে।