মোঃ শাহাজাদা হিরা:: বরিশাল জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজও বরিশাল নগরীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত আছে। আজ ৩০ জুন মঙ্গলবার সকালে বরিশাল মহানগরীতে জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন এর যৌথ অভিযানে বরিশালের বাজারে দেশের নামি-দামি কোম্পানির বিভিন্ন ঔষধ ও কোম্পানির নাম বিকৃত করে বিভিন্ন প্রকার নকল ঔষধ, স্যানিটাইজার ও ডিজইনফেক্টেন্ট সামগ্রী অবাধে বিক্রয় করার সময় তা জব্দ করা হয়। বরিশাল নগরীর ৯ নম্বর কাঠপট্টি এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, গণজমায়েত বন্ধ ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে শুরু থেকেই বরিশাল জেলা প্রশাসন নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যমানের নকল, মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীন ঔষধ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার জব্দ করে মোবাইল কোর্ট টিম। নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ এসব হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ঔষধ বিক্রির অপরাধে ড্রাগ অ্যাক্ট ১৯৪০ এর ১৮ ধারায় কাঠপট্টি এলাকার নূর মেডিকেল হলকে ২০ হাজার টাকা, মীম মেডিকেল কর্নারকে ৫ হাজার টাকা, স্বপ্নীল মেডিকেল হলকে ৫ হাজার টাকা ও আরমান মেডিকেল হলকে ৫ হজারা টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এসময় প্রায় ২ লক্ষ টাকার নকল ঔষধ স্যানিটাইজার জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে প্রসিকিউশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বরিশালের ড্রাগ সুপার অদিতি স্বর্ণা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন র্যাব-৮ এর একটি টিম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, বরিশালে নকল ও অনুমোদনহীন ঔষধের বিস্তার রোধে জেলা প্রশাসক এর নির্দেশনায় এর আগেও ২টি অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১০ কোটি টাকার ঔষধ জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে, কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৪ জন ব্যক্তিকে, সিলগালা করা হয়েছে কারখানা। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।