 
                                            
                                                                                            
                                        
বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় যমুনা লাইন পরিবহনের বাসের চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার বিকেলে বরিশাল হাইওয়ে থানার ওসি বেল্লাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মো. মাহবুব বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানার মামলাটি করেছেন।
“মামলায় অজ্ঞাত চালককে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।“ পুলিশ জানিয়েছে, যমুনা লাইন পরিবহনের বাসটি ঢাকা থেকে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া যাচ্ছিল। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উজিরপুর উপজেলার বামরাইল এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে।
বামরাইল এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি মহাসড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই সাতজনের মৃত্যু হয়। উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান দুজন। শের-ই বাংলা মেডিকেলে ১৭ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নিহতদের মধ্যে সাত জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন মো. আরাফাত হোসেন (৯), মো. নজরুল ইসলাম (৩৫), মোসা. আনোয়ারা বেগম (২৩), মো. হালিম মিয়া (৩১), মো. সেন্টু মোল্লা (৫০). মো. রমজান হওলাদার (৩৫) এবং মাধব শীল (৪৫)। তাদের মধ্যে মাধব হাসপাতালে মারা গেছেন।
এ ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুপুরে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান হচ্ছেন অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুর রহমান খান। অপর সদস্যরা হচ্ছেন- বিআরটিএর উপ-পরিচালক মো. শাহ আলম এবং উজিরপুর থানার ওসি আর্শাদ আলী।
কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আহতদের খরচ সরকার বহন করবে। আর যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।