দেশের বাজারে সকল প্রকার গুটি পাকা আম বাজারে আসার কথা রয়েছে মে মাসে, তবে বেশি মুনাফা লাভের আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এরিমধ্য কেমিক্যাল যুক্ত আম বাজার বিক্রি করছে। আজ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন বরিশালের নিয়মিত মোবাইল কোর্ট অভিযানের অংশ হিসবে আজ ৩০ এপ্রিল শুক্রবার বিকালে বরিশালের বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জসীম উদ্দীন হায়দার এর নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসন বরিশালের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসবে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবদুল হাই এবং রয়া ত্রিপুরা।
বরিশালে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন, লকডাউন কার্যকর করা পাশাপাশি বাজার মনিটরিং এর উদ্দেশ্যে নগরীর ফল পট্টি, পোট রোড এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনা কালে ফলের দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় দুই জন ফল বিক্রেতাকে ১,৪০০ টাক জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি বিধি বহির্ভূত পক্রিয়ায় অপরিপক্ব আম কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে বিক্রির করার সময় মেসার্স বরিশাল ট্রেডার্স থেকে ৪৫ কেজি, আরিফ ফ্রুট কর্ণার থেকে ৫৫ কেজি এবং নগরীর পোর্ট রোড এলাকার অভিযান চালিয়ে দত্ত বানিজ্যালয় আড়ৎ থেকে ৭৫ কেজি মোট ১৭৫ কেজি কেমিক্যাল যুক্ত আম বিক্রয় করা অবস্থায় পাওয়া যায়।
এসময় উক্ত অপরাধে ৩ ব্যবসায়ীকে মোট ২৫,০০০ টাকা জরিমানা করে তাৎক্ষণিক ভাবে আদায় করা হয় এবং ১৭৫ কেজি কেমিক্যাল যুক্ত আম জব্দ করে তা বিনষ্ট করা হয়। ইনশৃংখলা রক্ষায় সহায়তা করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দুইটি টিম। অভিযান শেষে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বৃন্দ জানান, জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।