বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের বক্তব্যে শেষ হওয়ার আগে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় কর্মীরা দুটি চেয়ার মঞ্চের দিকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারে।
সরিজমিনে দেখা গেছে, নিজেদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমাবেশে কিছুটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় এবং কর্মীরা ভয় পেয়ে এদিক সেদিক দৌঁড় দেয়। এ সময় নেতাদের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে।
পরে ইশরাক হোসেন বলেন, আপনারা শান্ত হয়ে। আগে নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলুন।
দেশব্যাপী নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে বরিশাল জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ।
দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে শুরুতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। পরে বিকেল ৩টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্যেদিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সমাবেশস্থল বরিশাল জিলা স্কুলে প্রবেশের পথ দুটি। এই দুই স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা গড়ে তুলেছেন। স্কুল মাঠে প্রবেশের সময় সবাইকে তল্লাশিও করে তারা। সমাবেশস্থলের আশপাশে জলকামান, সাঁজোয়া যান এবং রেকারসহ মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
দেশব্যাপী নিরক্ষে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি। এই লক্ষ্যে দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে তারা। বরিশালে সমাবেশের মধ্যদিয়ে শুরু হবে এই আন্দোলন।
সমাবেশের স্থান এবং পুলিশের অনুমতি নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও সমাবেশের জন্য বুধবার রাতে জিলা স্কুল মাঠ ব্যবহারের মৌখিক অনুমতি দেয় পুলিশ।
সকাল থেকেই জিলা স্কুল মাঠে মঞ্চ তৈরি এবং মাইক সাঁটানোসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে মহানগর বিএনপি। আসতে শুরু করে নেতাকর্মীরা। মহানগর বিএনপি এই সমাবেশ আয়োজনের দায়িত্বে থাকলেও বিভাগের অন্যান্য জেলা বিএনপি’র প্রতিনিধিরাও অংশ নেন বিক্ষোভ সমাবেশে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। মহানগর বিএনপি’র সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকার বিএনপি’র দুই মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আউয়াল, চট্টগ্রামের মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, খুলনার মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং রাজশাহীর মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
এদিকে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সিকদার জিয়া অভিযোগ করেছেন, বুধবার রাত থেকে ৪শ’ মোটরসাইকেল নিয়ে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে মহড়া দিয়েছে আওয়ামী লীগ, ছাত্র ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। তারা বিএনপি, ছাত্র ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমাবেশস্থলে না আসতে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আজ সকাল থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে সরকারি দলের ক্যাডার বাহিনী পাহাড়া বসিয়েছে। ৩০টি ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসার মুখে তারা বাধা দিচ্ছেন। তাদের ঘরে ফিরে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।