বাসে যাত্রী উঠানো নিয়ে বরিশাল বাস শ্রমিক ও মাহেন্দ্র শ্রমিকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপেরই ছয় শ্রমিক গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদের মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডের সামনে এই সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নতুনবাজার বানারীপাড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে স্বর্ণা নামে একটি বাস নথুল্লাবাদের মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডের সামনে এসে থামে। এসময় সেখান থেকে কয়েকজন বানারীপাড়ার যাত্রী বাসে তোলা হলে ক্ষিপ্ত হয় মাহেন্দ্র চালকরা। এসময় মাহিন্দ্রা চালক শামীম ও রুবেলের সাথে বাসচালক সোহাগের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয় এবং তা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। কয়েক দফায় এই সংঘর্ষে ৫/৬টি মাহেন্দ্র ভাঙচুর করা হয় এবং বাস চালকরা রাজীব নামে এক মাহেন্দ্র চালককে বেধড়ক মারধর করে। এই ঘটনায় চালক শামীম, রুবেল, রাজীব ও বাস চালক সোহাগ গুরুতর আহত হয়। এছাড়া আরো দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এই ঘটনার পরপরই বরিশাল থেকে আভ্যন্তরীণ ১৪টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বাস শ্রমিকরা। সাথে সাথে মাহেন্দ্র চালকরাও তাদের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ২ ঘণ্টা পর বাস চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি আফতাব আহম্মেদ বলেন, মাহেন্দ্র শ্রমিকদের হামলায় আমার শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনার বিচার হবে।
বরিশাল আলফা-মাহেন্দ্রা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি লিটন মোল্লা জানান, ঈদের সময় বাস চালকরা খাম খেয়ালিভাবে বাস পরিচালনা করে। এই নিয়ে বাস শ্রমিকদের সাথে মাহেন্দ্র চালকদের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বাস শ্রমিকরা মাহেন্দ্র চালকদের মারধর করে এবং ১০/১২টি ভাঙচুর করে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রকিবুজ্জামান জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এসময় কয়েকটি মাহিন্দ্রা ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
অন্যদিকে বাস চালকরা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের সাথে মাহেন্দ্র শ্রমিকদের আলাদা সখ্য রয়েছে। রিকজিশনে মালিকদের কাছে মাহেন্দ্র নেয় পুলিশ। এছাড়া মাহেন্দ্র মালিকদের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধাও নেয় পুলিশ। তাই থ্রি হুইলার মাহেন্দ্র মহাসড়কে চলাচলের অনুমতি না থাকা সত্বেও পুলিশের অনুমতিতে তা চলছে নির্বিঘ্নে তারাই যতই অপরাধ করুক পুলিশ কোনো সময়ই মাহেন্দ্রর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না।