ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মায়ের কাছে যাওয়ায় দ্বিতীয় স্বামীর লোকজন প্রকাশ্যে দিবালোকে এক স্কুল ছাত্রীকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে। স্কুল ছাত্রী সাদয়িা আক্তারের (১৩) আত্মচিৎকারে তার মা রিংকু বেগম (৩২) এগিয়ে আসলে তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। মা ও মেয়ে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামালাকারীদের অব্যাহত হুমকির মুখে মামলা করতে সাহস পাছে না নির্যাতিতরা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ভূরঘাটা গ্রামে।
হাসপাতালে শষ্যাশায়ী রিংকু বেগম জানান, ১৫ বছর পূর্বে ভূরঘাটা গ্রামের সৌদীআরব প্রবাসী সালাউদ্দিনের সাথে তার বিবাহ হয়। বিবাহর দুই বছর পরে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে। যার নাম সাদীয়া। পরবর্তীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে সালাউদ্দিনের সাখে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তার কন্যা সাদীয়াকে তার বোন জিয়াসমিনের বাড়ি ধানডোবা গ্রামে রেখে সে (রিংকু) ভূরঘাটা গ্রামের সাইফুল ইসলাম ফকিরের কাছে দ্বিতীয় বিবাহ বসেন।
রিংকু বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার প্রথম সংসারের কন্যা ধানডোবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনির ছাত্রী সাদীয়া ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। অসুস্থ্য অবস্থায় তার বোন সাদীয়াকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে সাদীয়া গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালে তার কাছে (রিংকু) যায়। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে তার দ্বিতীয় স্বামী সাইফুল ইসলাম ফকিরের বড় ভাই নিজাম ফকির ও তার স্ত্রী শাহানাজ বেগম হত্যার জন্য তার কন্যার গলা টিপে ধরেন। সাদীয়ার ডাকচিৎকারে তিনি এগিয়ে আসলে তাকে কিল ঘুষি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এসময় বাড়ির লোকজন উভয়কে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হামালাকারীদের হুমকির মুখে তিনি মামলা করতে সাহস পাছে না।
গৌরনদী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।