 
                                            
                                                                                            
                                        
পুলিশ সদস্যের সহায়তায় প্রাণে বাঁচলো ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১২ যাত্রী
বরিশাল: বরিশালের বেলতলা খেয়াঘাট সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে ১২ যাত্রীসহ একটি ট্রলার ডুবে গেছে। তবে ঘটনাস্থলে থাকা কাউনিয়া থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বদরুল ইসলামের তৎপরতায় ও ট্রলার শ্রমিকদের সহায়তায় হতাহতের ঘটনা ছাড়াই ডুবে যাওয়া সব যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
রোববার (৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি নদী কিছুটা উত্তাল ছিল। এর মধ্যে কাঠের তৈরি ছোট একটি ট্রলার ১২ থেকে ১৩ জন যাত্রী নিয়ে চরমোনাই খেয়াঘাট থেকে বরিশাল নগর প্রান্তের পলাশপুরের বেলতলা খেয়াঘাটের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে সেটি ডুবে যায়। ঘটনার সময় বেলতলা খেয়াঘাটে থাকা এক পুলিশ সদস্যের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১২ যাত্রী প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
ঘটনাস্থলে থেকে উদ্ধার কাজে নেতৃত্বদানকারী কাউনিয়া থানা পুলিশের এএসআই বদরুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় তিনি তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ বেলতলা খেয়াঘাট এলাকাতেই ছিলেন। ট্রলারটি পার হয়ে নদীর এপারে আসতেও দেখছিলাম। কিন্তু প্রবল স্রোত ও উত্তাল ঢেউয়ের কারণে সেটি মাঝ নদীতে ডুবে যায়।
তিনি জানান, কোনো চিন্তা না করে তাৎক্ষণিক ঘাটে থাকা অপর দুটি ট্রলারের সাহায্যে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। পরে সেখান থেকে একে একে বিভিন্ন বয়সী চার শিশু, দুই নারী ও ছয়জন পুরুষ যাত্রীকে উদ্ধার করেছি। এদের মধ্যে দুইজন নারী কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়। বাকিরা সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. মনজুর রহমান জানান, বিষয়টি আমরা জানার পরপরই ওই পুলিশ সদস্যকে সাধুবাদ জানিয়েছি। কারণ তার চেষ্টায় আজ বেশ কয়েকজন ট্রলারের যাত্রী প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
তার এ কাজের জন্য তাকে পুরস্কৃতও করা হবে। তার মতো মানুষের কল্যাণে, সেবায় সব পুলিশ সদস্যরাই নিয়োজিত রয়েছেন বলেও জানান উপ-কমিশনার (উত্তর) মনজুর।