বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ। করোনা মহামারির কারণে দুইবছর নববর্ষ ভালোভাবে উদযাপন করতে না পারলেও এবার বিধিনিষেধহীন পরিবেশে সার্বজনীন এই উৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষায় জাতি। তবে এ বছর নববর্ষ উদযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ঝড়-বৃষ্টি।
গত কয়েক দিন ধরে ছয় বিভাগে চলা ঝড়-বৃষ্টি নববর্ষের দিনও অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা রংপুর অঞ্চলে বেশি। সেখানে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে, সঙ্গে আছে শিলাবৃষ্টিও।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, নববর্ষের দিন ঢাকায় বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম এবং বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এ সময় সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ। তবে বৃহস্পতিবার খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা।
ঢাকার আকাশে মেঘের রোদের লুকোচুরি খেলা চলেছে বুধবার দিনভরই। সঙ্গে ছিল ভ্যাপসা গরম। তবে বৃষ্টি নামলে গরম কমবে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে বৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে রংপুরে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সর্বোচ্চ ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া ডিমলায় ৩৪, সৈয়দপুরে ৪২ ও রংপুরের ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে, ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অপরদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে।