বরিশাল থেকে প্রকাশিত আঞ্চলিক দৈনিক আজকের পরিবর্তন কার্যালয়ে চুরি সংঘটিত হয়েছে। এসময় চোর চক্র নগদ অর্থ, ল্যাপটপ সহ অন্যান্য মালামাল চুরি করে নিয়েছে চোর চক্র।
মঙ্গলবার (২০ মার্চ) দিবাগত গভির রাত সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল নগরীর সদর রোডস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বিপরিতে কুশলা হাউসের প্রথম ফ্লরে পত্রিকা কার্যালয়ে এই চুরি সংঘটিত হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা সন্দেহে আজকের পরিবর্তনের পেষ্টার সেন্টু সিকদারকে আটক করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
তাছাড়া চুরির ঘটনার সঙ্গে পরিবর্তন অফিস কুশলা হাউস ভবনের মালিক এর ছেলে শামীম এর জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আটক হওয়া পত্রিকার পেষ্টার সেন্টু পুলিশকে এমন তথ্য দিয়েছে। এই ঘটনায় পেষ্টার সেন্টু ও শামীমকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পরে খবর পেয়ে আজ বুধবার (২১ মার্চ) সকালের পর থেকেই কোতয়ালী মডেল থানার দায়িত্বে থাকা সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহনাজ পারভীন, মডেল থানার পরিদর্শক আতাউর রহমান এবং এসআই মাইনুল হোসেন সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা পরিবর্তন কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন।
এছাড়া রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ গোলাম রউফ খান-পিপিএম আজকের পরিবর্তন কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন।
দৈনিক আজকের পরিবর্তনের সংশ্লিষ্টরা জানান, পত্রিকা প্রকাশনার সকল কাজ শেষ করে রাত দুই টার দিকে যে যার বাসায় চলে যায়। প্রতিদিনের ন্যায় পিত্রকার পেষ্টার ও রাত্রিকালিন পিওন সেন্টু সিকদার অফিসে ছিলো। সে রাতে পত্রিকা ভাজ করা শেষে ভোরাতে ভাসা ফেরে।
সকালে অফিসে এসে দেখতে পান নিউজ এবং কম্পিউটার বিভাগ স্বাভাবিক অবস্থায় থাকতে দেখেন। সম্পাদক তার ব্যক্তিগত কক্ষের তালা খুলে দেখতে পান সেখানে ল্যাপটপ নেই এবং ড্রয়ার খোলা ও মালামাল এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে।
পরে খোঁজ নিয়ে দেখতে পান ড্রয়ারের মধ্যে থাকা একটি মোবাইল সেট সহ প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা চুরি হয়েছে। তাৎক্ষনিক ভাবে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করার পাশাপাশি পেষ্টার সেন্টুকে খবর দিয়ে অফিসে ডেকে আনা হয়।
পরবর্তীতে পত্রিকা কার্যালয়ের বাইরে থাকা সিসি ক্যামেরার ধারনকৃত ভিডিও ফুটেজ চেক করে চুরির ঘটনার সঙ্গে সেন্টুর সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া যায়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় চুরির কথা স্বীকার করেছে।
কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, আপাতত পত্রিকার পেষ্টার কাম রাত্রিকালিন পিওন সেন্টুকে আটক করা হয়েছে। সে ঘটনার সঙ্গে আরো একজনের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
আপাতত সেন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় আরো কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে এই ঘটনায় প্রয়োজনিয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক আতাউর রহমান।