বরিশালে ডিস লাইনের তারে ঝরে গেল গৃহবধুর প্রান

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

নিজস্ব প্রতিদেক ॥
বরিশাল নগরীতে অদখ্য ব্যক্তিদের দিয়ে ডিস লাইনের সংযোগ দেয়ায় এটা মৃত্যু কূপে পরিনত হয়েছে। অপরিকল্পিত ও অগোছালো সংযোগ নগরীর প্রধান কেন্দ্র গুলোসহ অলি গুলগুলোতে বিদ্যুতের খাম্বা খুটির সাথে জড়িয়ে বাসা বাড়িতে সংযোগ গুলো স্থাপন করা হয়েছে। ফলে জীবন হননের আর এক আতংকের নাম এখন ডিস লাইনের তার। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার সময় নগরীর নথুল্লাবাদ বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন শেরে বাংলা সড়কে ডিস লাইনের তারে সট সার্কিটের মাধ্যমে বিজিবি সদস্য ২সন্তানের জননী  রেশমা আক্তারের মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নগরীর ডিস ব্যবসায়ী শিবু দাসের স্কাই ভীশনের দেয়া লাইন ঐ এলাকায় বাদশা নামক এক ব্যক্তি পরিচালনা করেন।

শেরে বাংলা সড়ক এলাকায় বাবুল শরীফের ৪ তলা ভবনের নিচ তলায় ভাড়া থাকেন বাকেগঞ্জের বাসিন্দা বিজিবি সদস্য মাহাবুব আলমের স্ত্রী রেশমা আক্তার। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে চিৎকার দিয়ে ওঠে রেশমা। ২৬নং ওয়ার্ড হরিনাফুলিয়া পিত্রালয় থেকে বেরাতে আসা রেশমার ভাই খোকন ডাক চিৎকার শুনে দরজার সামনে আসলে দরজা আটকানো দেখে ডাক চিৎকার করে বোনকে ডাকতে থাকে। এক পর্যায়ে পাশের ভাড়াটিয়া লোকজন জরো হয়। রুমের তালা ভেঙ্গে তার বোনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। খোকন জানিয়েছেন, দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকলে তার মৃত বোনের পিঠের নিচে ডিস লাইনের তার দেখতে পায়। ধারনা করা হচ্ছে অপরিকল্পিত ও অদখ্য লোক দিয়ে বাসায় ডিস সংযোগ দেয়ায় বিদ্যুতের তারের সাথে ডিস লাইনের সট সার্কিটে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। এমনটা হলে টিভি দেখতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। তখন কেউ ঐ তার ধরলে বা টিভি ঝির ঝির বন্ধ করতে তারে হাত দিলে সট সার্কিটে মৃত্যু হতে পারে। ঘটনার পর পর ঐ রাতেই আমানতগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের ঐ এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি ছুটে যান সেখানে। সাথে সাথে ঐ এলাকার রোড লাইনের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান এয়ারপোর্ট থানার এসআই ফিরোজ আলম। জানাগেছে, কোন রকম পোষ্টমটেম ছাড়াই লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত নেয় মৃত রেশমার স্বজনরা। রেশমার স্বামী মাহবুব আলম চট্টগ্রাম কক্সবাজার এলাকায় কর্মরত থাকায় তার অপেক্ষায় এখনো রেশমার লাশ রাখা হয়েছে ঐ ভবনের সামনেই। রেশমার স্বামী আজ ভোর রাতের মধ্যে বরিশালে পৌছার কথা রয়েছে। এবিষয়ে বিমান বন্দর থানার এস আই ফিরোজ আলম এর নিকট জানতে চাওয়া হয়েছিলো লাশ পোষ্টমটেম ছাড়া দাফন করতে হলে নিয়ম অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের অনুমতি প্রয়োজন হয়। তার অনুমতি নেয়া হয়েছে কি না। এমন প্রশ্নের জবাবে এস আই ফিরোজ আলম বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে লাশের পোষ্টমটেম করতে আপত্তি রয়েছে। তাছাড়া বিদ্যু পৃষ্ট হয়ে রেশমার মৃত্যু হয়েছে…