বরিশালে টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ এর প্রভাবে বরিশাল টানা তিন দিন ধরে কখনও গুড়ি গুড়ি এবং ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আরও মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে জাওয়াদ ক্রমেই লঘুচাপে পরিণত হয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

এদিকে জাওয়াদের প্রভাবে বরিশালে টানা তৃতীয় দিনের মতো সূর্যের দেখা মেলেনি। এ কারণে শীতের তীব্রতা কিছুটা বেড়েছে। সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরে জারী করা হয়েছে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. বশির আহমেদ জানান, গতকাল রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বরিশালে ১৪ মিলিমিটার এবং আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩০ মিলিমিটার অর্থাৎ গত ৩০ ঘণ্টায় ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের দিনও বৃষ্টি হয়েছে বরিশালে। বৃষ্টির সময় দমকা হাওয়ায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ৫ নটিক্যাল মাইল।

বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৫ থেকে ১০০ ভাগ। গতকাল বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জাওয়াদের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী এবং মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরে ১ নম্বর সংকেত জারী করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ক্রমেই লঘুচাপে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং টানা তৃতীয় দিনের বৃষ্টিতে বরিশালের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শহরে লোকজনের চলাচল কমেছে। অনেক দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। যানবাহনের সংখ্যাও কম। অফিস আদালতসহ সর্বত্র উপস্থিতি তুলনামূলক কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মানুষ। অপরদিকে টানা বৃষ্টির কারণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওইসব এলাকার মানুষ।

 

ক্যাম্পাসজাতীয়প্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
লাইফ সাপোর্টে থাকা অভিনেতা ও নির্মাতা হুমায়ূন সাধু মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। গণমাধ্যমকে ফারুকী বলেন, রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন হুমায়ূন সাধু। সেখানেই তার মৃত্যু হয় গত ২৯ সেপ্টেম্বর হুমায়ূন সাধুর প্রথম ব্রেন স্ট্রোক হয়। তখন তাকে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে ১৩ অক্টোবর রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এরপর তাকে বিদেশে নিয়ে অস্ত্রোপচারেরও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০ অক্টোবর হঠাৎ সাধুর দ্বিতীয় ব্রেন স্ট্রোক হয়। এরপর তাকে স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে পথ চলা শুরু হুমায়ূন সাধুর। অভিনয়ের পাশাপাশি নাটকও নির্মাণ করেছেন তিনি।
৬ years ago