বরিশালে জমে উঠেছে পূজায় পোষাকের বাজার

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয়-সামাজিক উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নগরীর মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে গেছে। শুক্র-শনিবার সরকারি ছুটির দিনে ক্রেতাদের ভিড় ছিলো লক্ষনীয়। পূজার জন্যে লাল, সাদা আর বাসন্তি রঙকে প্রাধান্য দিয়ে নানা রং আর ঢঙের পূজার পোশাকে সেজেছে বিপণী বিতানগুলো।

নগরীর বাণিজ্য কেন্দ্র চকবাজারের একাধিক বিক্রেতা বলেন এটি প্রধানত: ধর্মীয় উৎসব বলে ধর্মীয় ট্রাডিশনের পোশাককেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

স্বদেশী বস্ত্রালয়ের মৃণাল সাহা জানান, ‘শারদীয় দুর্গাপূজার’ প্রতিটি দিনের আনুষ্ঠানিকতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোশাক রয়েছে তাদের কালেকশনে। এর মধ্যে নতুন নতুন ডিজাইনের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, লেডিস টপস, সিঙ্গেল কামিজ, শার্ট, টি-শার্ট, বাচ্চাদের পোশাকের পাশাপাশি ছেলেদের জন্য রয়েছে ধুতি ও পাঞ্জাবি।

কুন্ডেশ্বরী বস্ত্রালয়ের কুন্ডুবাবু বলেন, উৎসবকে লক্ষ্য রেখে ছোট্টদের জন্যও বাজারে এসেছে লাল রঙের ধুতি ও পাঞ্জাবি।

বিক্রেতা ভোলা সাহা জানান, পূজাতে তাদের হাফ সিল্ক-এর শাড়ির চাহিদা বেশি। এ শাড়িগুলোর দাম পড়বে তিন হাজার ৭৮০ টাকা থেকে ১১ হাজার ৮৫০ টাকা পর্যন্ত।

বিক্রেতারা আরও বলেন, এখন গরম যেমন আছে তেমনি বৃষ্টির আসা-যাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ভাল পণ্য আর সুলভ মূল্যকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। পূজার পোশাকের দাম হাঁকা হয়েছে ছয়শ’ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

ক্রেতা অসীম সাহা জানান, তিনি তার স্ত্রীর জন্য একটি লাল রঙের ব্লকের শাড়ি ক্রয় করেছেন। পোশাক অনুযায়ী মূল্য তার কাছে ঠিকই মনে হচ্ছে।

ক্রেতা মৃদৃলা চক্রবর্তী বলেন, তিনি সাত হাজার টাকায় লাল রঙের কাতান আর পাঁচ হাজার টাকায় বাসন্তি রঙের জামদানি ক্রয় করেছেন।

অপর ক্রেতা ভূপেন চন্দ্র ঘোষ জানান, পূজার মোটিভ ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যান্ডের এক্সক্লুসিভ ডিজাইনের টি-শার্টের পাশাপাশি সময়কে রাঙানোর জন্য পুরুষের জন্য বাজারে এসেছে বাহারি ধুতি ও পাঞ্জাবি। অন্যান্য দ্রব্যের মূল্য অনুযায়ী পুজার বাজার সহনীয় দামের।