বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় জল্লা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি বিশ^জিৎ হালদার নান্টু হত্যাকান্ডের দেড় মাস পর পুলিশ মুল পরিকল্পনাকারীসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। এনিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা দাড়ালো ২০ জন।
মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিস থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে একটি পিস্তল। জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বুধবার সাংবদিক সম্মেলনে জানান, এ ৮ জন বিশ^জিৎ হত্যকান্ডের মুল পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত। উদ্ধার হওয়া পিস্তলটি দিয়ে বিশ^জিৎত কে গুলি করা হয়েছে। তবে কিলিং মিশনে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেওয়া ২ জনকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।
গ্রেফতার হওয়া ৮ জন হচ্ছেন হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামী মো. শাকিল ইসলাম রাব্বী (২৫), মামুন শাহ (৩৫), কাউসার সেরনিয়াবাত ও এরশাদ এবং এজাহার বহির্ভূত কুদ্দুস হাওলাদার, হাদিরুল ইসলাম হাদী, দিপু ও সোহাগ। তবে পুলিশ তাদের ঠিকানা প্রকাশ করেনি।
পুলিশ সুপার বলেন, মোহাম্মদপুরে মামুন শাহ’র বাব্যসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে তাকেসহ অপর ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা চেয়ারম্যান নান্টু হত্যাকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার এবং মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেওয়ায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জনপ্রিয় চেয়ারম্যান নান্টুকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে দুই বন্ধু রাব্বী ও মামুন শাহ জল্লা এলাকায় তাদের রাজনৈতিক অবস্থান সুদুঢ় করার ক্ষেত্রে পথের কাটা মনে করতো চেয়ারম্যান নান্টুকে। মামলার তদন্তের স্বার্থে এর চেয়ে বেশী তথ্য জানাতে অপরাগতা জানানা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, গত ২১ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে জল্লা ইউনিয়নের কারফা বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অজ্ঞাত এক দৃবৃর্ত্তর গুলিতে নিহত হন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিশ^জিৎ হালদার নান্টু। দুজন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে একজন নেমে নান্টুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে গুলি করে ফের মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নান্টুর পিতা অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন মোট ৩২ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, হত্যাকান্ডের পর পরই অভিযান চালিয়ে স্থানীয় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কেউ কেউ হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে মঙ্গলবার ঢাকায় গ্রেফতার হওয়া ৮ জন।